কামরুল হাসান নিরব
সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা মীর হোসেন মিরু’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে তিনি ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের নিকট থেকে সরকারের নির্ধারিত ফি এর চেয়ে অতিরিক্ত ফি নেয়। তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। বিভিন্ন অযুহাতে তিনি সেবা প্রতার্শীদের ঘুরিয়ে টাকা আদায় করেন ও হয়রানি করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়নের অশ্বদিয়ার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। ইচ্ছাকৃত ভুল করে আমার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে মিরু। ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের বাড়ির রাশেদুল ইসলাম জানান, মিরু আমার কাছ থেকে অনেক টাকা খেয়েছে। তাকে আর ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ইরফান আহমেদ ইফতি বলেন, আমার কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ও এনআইডি জন্য ১০ হাজার টাকা নিয়েছে উদ্যোক্তা মিরু।
মিরুর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সেবা গ্রহীতাদের বিভিন্ন ডুকুমেন্টেসে ভুল থাকার অজুহাত দেখিয়ে হয়রানি করাতেন।
স্থানীয়রা বিষয়গুলো আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে এর প্রতিকার ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, কাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মীর হোসেন মিরু বলেন, অভিযোগকারীদের কাউকেই আমি চিনি না। তাছাড়া আমি যদি দুর্নীতি করেই থাকি তখন চেয়ারম্যান ছিল ইউপি সদস্য ছিল তাদের নিকট বিচার প্রার্থী হয়নি কেন?
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, আগের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড এখনও মিরুর কাছেই রয়েছে। তবে আমাদের সভা হয়েছে। নতুন উদোক্তা এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের বিষয়ে কথা হয়েছে।
কাজিরবাগ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুন নবী হিটলার বলেন, এসিল্যান্ড ও ইউএনও স্যার ৩ দিন পর আমাদের দেখা করতে বলছেন। ইউনিয়নের মানুষের কল্যান হয় এমন কাজই করব আমরা।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজীব তালুকদার বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হবে।