শহর প্রতিনিধি>
আমরা সবাই মানুষ, দেশে কোনো সংখ্যালঘু নেই। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা একে অপরের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়বো বলে জানিয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির একেএম শামসুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে শহরের জয়কালী মন্দিরের সম্মেলন কক্ষে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
এমন কথা বলেন সংগঠনটির জেলা আমির। এসময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মন্দির ভাংচুর হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। দেশের বিদ্যমান শৃঙ্খলা বিনষ্টের জন্য একটি কুচক্রীমহল তৎপরতা চালাচ্ছে। এইসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দলীয় নেতাকর্মীকে সর্তক থাকার আহবান জানান। গতকাল দুষ্কৃতিকারীরা মন্দির ভাংচুর করতে এসেছিল পাহারা বস্থায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদেরকে দেখে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লিটন সাহার সঞ্চালনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি হীরালাল চক্রবর্তী, এডভোকেট সমীর কর, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুফতি মাওলানা আবদুল হান্নান, সহ-সেক্রেটারি আ.ন.ম আবদুর রহিম ও দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি যতন মজুমদার। জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকারের কাছে সাতটি দাবি নিয়ে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের যৌক্তিক দাবিসমূহ সরকার পূরণ করে নাই। বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের কোন বিচার করে নাই। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি করেছিলাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আদলে আলাদাভাবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ফাউন্ডেশন করার জন্য। সরকার যদি ফাউন্ডেশন ঘোষণা করতো তাহলে আমাদেরকে খয়রাতি টাকা দিয়ে পূজা উদযাপন করতে হতো না। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশ করলে সরকারের কোন টাকা খরচ হতো না। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা নিগৃহীত হয়েছি। ছাত্র আন্দোলনের সময় জেলা জামায়াত অতন্দ্রী প্রহরীর মতো আমাদের মন্দির পাহারা দিয়েছেন ফলে ফেনীতে কোনো মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।