নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার এক সময়ের জনমানবহীন ভাসানচরে গড়ে তোলা হচ্ছে চোখ ধাঁধানো পাঁচ তারকা মানের হোটেল। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ভাসানচরমুখী হওয়ায় তৈরি করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এ স্থাপনা।
চরের মাটিতে স্টিলের সামগ্রীতে নির্মিতব্য হোটেল ও আবাসিক ভবনের পাশেই চলছে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল, জিম এবং টেনিস কোর্টের কাজ। অবসরে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য কাটা হচ্ছে কৃত্রিম লেক।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভাসানচর পর্যবেক্ষণে আসা জাতিসংঘের বিদেশি কর্মকর্তাদের টার্গেট করেই গড়ে তোলা হয়েছে মলটি। এতে সাজানো আছে নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা জিনিসপত্র। আবার পাশেই আছে উন্নতমানের সেলুন, লন্ড্রি ও রেস্টুরেন্ট। রাজধানী ঢাকার কিংবা বিভাগীয় শহরের শপিংমলগুলোর মতোই ভাসানচরে তৈরি করা হয়েছে বিপণিবিতানটি।
ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির জাগো নিউজকে বলেন, দেশি-বিদেশি অতিথিদের বসবাসের জন্য সব সুবিধা সম্বলিত স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া এসব ভবনের বাসিন্দাদের জন্য থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) অতিরিক্ত কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, এখানে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। হোটেলের পাশেই থাকবে জাতিসংঘ এবং শরণার্থী বিষয়ক কমিশনের জন্য আরও দুটি বহুতল ভবন। তিনটি ভবনেরই নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগেই।