নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল করিম আকরাম বলেন, স্বাধীনতার পর হতে অদ্যাবধি ক্ষমতাসীনরা তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে যুব সমাজকে ব্যবহার করে আসছে। বই, খাতা ও কলমের পরিবর্তে তারা যুব সমাজের হাতে তুলে দিয়েছে মাদক আর অস্ত্র। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ বুকে আসা বেঁধে ছিল এবার বুঝি আমরা স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত ফল উপভোগ করবো। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম, বৃহৎ একটি দল ক্ষমতায় আসার পূর্বেই দলীয় প্রভাব বিস্তার কেন্দ্রিক দ্বন্দ্বে এ পর্যন্ত নিজ দলের দেড় শতাধিক মানুষকে খুন করেছে। তিনি আরো বলেন,
ভাগাভাগির জন্য যারা দলীয় কর্মীর চেহারা বিকৃত করে দেয়, ক্ষমতায় গেলে তারা দেশের চেহারা বিকৃত করে ফেলবে। এজন্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচন করে সংসদ গঠন করতে হবে। যাতে করে পতিত স্বৈরাচারের মতো নতুন কোন স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ জন্মিতে না পারে। বৃহস্পতিবার ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদ হাসান চৌধুরী’র সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম। জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুফতী আতাউল্লাহ কবীর ভূঁইয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি জিয়াউর রহমান ফারুকীর যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা গাজী এনামুল হক ভূঁইয়া, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ফেনী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান গিলমান, কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য মুফতি সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ওমান শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা মীর আহমেদ মীরু, দুবাই শাখার জয়েন্ট-সেক্রেটারি মাওলানা কবির আহমদ পাটোয়ারী, সাবেক জেলা সহ সভাপতি মাওলানা হারুনুর রশিদ, ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুদ্দিন শিপন ও জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আলী আহমেদ ফোরকান। এছাড়াও সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সহ-সভাপতি মাওলানা সাইফুল্লাহ আল শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইয়াকুব বিন ইউসুফ, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা নুরুজ্জামান, সদর উপজেলা ইসলামী যুব আন্দোলন পূর্ব শাখার সভাপতি ওমর ফারুক শাহীন, পৌর ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রাহমাতুল্লাহ আশরাফী। সম্মেলনের প্রধান বক্তা ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাস, খুন, চাঁদাবাজি, চোরাকারবারী ও মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত যুবসমাজকে সঠিক পথের দিশা দিচ্ছে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ। স্বার্থবাদী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতার স্বার্থে যুবকদের ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র ধ্বংস করে দিচ্ছে। সেখানে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ যুব সমাজকে সত্য ও সুন্দরের পথে আহ্বান জানাচ্ছে। ইসলামী যুব আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের রক্তে কোন মাদকের চিহ্ন নেই। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ কোনো অন্যায় অপকর্মে তাদের ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ নেই। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এমন এক সংগঠন যেখানে যদি কোন অন্যায় অপরাধী ও সংযুক্ত হয় সে পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। এজন্য তিনি ফেনীর সকল যুব সমাজকে ইসলামী যুব আন্দোলনের ছায়াতলে এসে সমবেত হওয়ার মাধ্যমে আত্মগঠন ও আত্মসংশোধনের কাফেলায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।