নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সাহেদ আলীর
বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে অপসারণ চেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে লেমুয়া হাই স্কুলে গিয়ে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লেমুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একটি বিদ্যাপীঠ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাহেদ আলী একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের মুষ্টিমেয় কিছু সাবেক শিক্ষার্থী মিলে স্বার্থ হাসিলে প্রধান শিক্ষককে জোর করে বিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করাতে চাপ প্রয়োগ করছেন। বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগ করতে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। চাপ প্রয়োগে তিনি পদত্যাগ না করলে চলমান ছাত্র আন্দোলনকে পুঁজি করে প্রধান শিক্ষককে অপসারণের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে, যার কারণে বিদ্যালয়টির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এমনকি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনো সত্যতা নেই। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় নষ্ট করে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষককে অপসারণের অপচেষ্টা, শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের বিপথগামী করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে মুষ্টিমেয় কিছু সাবেক শিক্ষার্থী। সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মো. সাহেদ আলীকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বিতাড়িত করার যে চেষ্টাকারী তথা ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ ব্যাপারে লেমুয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সাহেদ আলী বলেন, আমি সাবেক সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর আত্নীয় হই। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমি অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাই। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কোন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের মুষ্টিমেয় কিছু সাবেক শিক্ষার্থী মিলে নিজাম হাজারীর আত্নীয় এই অজুহাতে আমাকে অপসারণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।




