নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যবসায়ীর দেনা পরিশোধ না করে উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফুলগাজীর বিমল দত্তের বিরুদ্ধে। একই সাথে পাওনাদারকে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে শায়েস্তা করার হুমকি দিচ্ছে বিমল দত্ত এমন অভিযোগে ফেনী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘এমিটি এগ্রো’র কর্মকর্তাবৃন্দ। শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এমিটি এগ্রো’র ম্যানাজার তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, বিমল দত্ত লক্ষ্মীপুর কারাগারের রক্ষী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ফুলগাজী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিপ্লব কান্তি দত্তেরপুত্র।
লিখিত বক্তব্যে তাজুল ইসলাম জানান, ফেনী শহরের দাউদপুর কাঁচাবাজার সংলগ্ন ‘এমিটি এগ্রো’ নামিয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিমল দত্ত ও তার বাবা বিপ্লব দত্ত তাদের গরুর ফার্মের জন্য গোখাদ্য ক্রয় করেন। বিমল সৎ কারারক্ষী ও তার পিতা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে পরিচয় পাওয়ায় তাদের সম্মান করতাম। তারা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬৫:টাকার গো খাদ্য ক্রয় করে। আমরা সরল বিশ্বাসে বাকীতে মাল বিক্রি করি। পর্যায়ক্রমে তারা ধাপে ধাপে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০০ টাকা পরিশোধও করে। প্রায় ৭ লাখ টাকা পাওনা থাকা অবস্থায় তারা টাকা পরিশোধ বন্ধ করে দেয়। এরপর দিব দিচ্ছি করে মাসের পর মাস পার করে দেন। এক পর্যায়ে তারা টাকা দিবে না বলে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। কারারক্ষী বিপ্লব এক পর্যায়ে আমাদের দোকানের সবাইকে জেলে ভরে দেবেন বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতের ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে প্রশাসনকে ব্যবহার করে সবাইকে জেলের ভাত খাওয়াই ছাড়বের বলেও হুমকি দেয়। এছাড়া বিপ্লব ও তার বাবা বিএনপি জামাতের নেতাদের দিয়ে আমাদের জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
তাজুল ইসলাম আরো জানান, এক পর্যায়ে বিপ্লব দত্ত উল্টো আমাদের কাছে টাকা পাবে বলে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘এমিটি এগ্রো’র অংশীদার মোহাম্মদ তারেক, তানভিরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল বায়েজিদ।