নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীর পুরাতন জেলগেটের সামনে গিয়াস উদ্দিন (৫০) নামীয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গিয়াস উদ্দিন আলোকদিয়ার গ্রামের ওহিদের রহমান’র ২য় পুত্র।
তার মৃত্যু নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে বললেও অনেকে ধারণা তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে। এই নিয়ে চলছে কানাঘুষা। বিষয়টি ময়নাতদন্তের মাধ্যমে সুরাহা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, পারিবারিক কলহে গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। গত তিনদিন থেকে তিনি ফেনীর পুরাতন জেলগেট এলাকায় অবস্থান করছিলেন। দূর্বলতা ও প্রচন্ড গরমেও সে মারা যেতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
স্থানীয় জসিম মাহমুদ জানান, গিয়াস উদ্দিন সুস্থ্য সবল ও সামাজিক ব্যক্তি ছিলেন। ওহিদের রহমান ছোটপুত্র নাসির প্রকাশ গালকাটা নাসিরের অত্যাচার নির্যাতনে আজ থেকে প্রায় বিশ বছর আগে বিষপানে আত্মহত্যা করে। তার মৃত্যুর পর পরই সহায়- সম্পদ বিক্রয় শুরু করে। একপর্যায়ে গালকাটা নাসিরের নজর পড়ে তারই আপন সহোদর গিয়াস উদ্দিনের সম্পদের উপর। ফলে গালকাটা নাসির গিয়াসউদ্দিনের সম্পদ আত্মসাৎ করতে জঘন্য ও ভয়ংকর পথ বেচে নেয়। নাসির তাকে ঘুমের মধ্যে নেশাজাতীয় ইনজেকশন পুশ করে দিনের পর দিন ঘরে আটকিয়ে রাখতো। কারো সাথে কথা বলতে কিংবা মিশতে দিতোনা। শুধুমাত্র জমি বিক্রয় করার সময় তাকে রেজিট্রি অফিসে নিতো। এই নিয়ে এলাকার মানুষের সাথে গালকাটা নাসিরের বহু বাকবিতন্ডা হয়েছে। তার উদ্বারপূর্বক চিকিৎসা দিতে তিনি (জসীম মাহমুদ) ফেনীর আদালতে মামলা করেন ২০১৯ সালে। আদালতের সময় ক্ষেপনের কারণে বিষয়টি অমীমাংশিত থেকে যায়। এক পর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন কে নাসিরের হাত থেকে উদ্বার করে তারই আপন ভগ্নিপতি দন্ত চিকিৎসক সায়েদুল হক তার বাড়ি ধর্মপুরের আমতলীতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গিয়াস উদ্দিন গত তিনদিন আগে চলে আসে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, মৃতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হিটস্ট্রোক ও হতে পারে অন্য কিছুও হতে পারে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।