দাগনভূঞা প্রতিনিধি
দাগনভূঞায় বিএনপির ইফতার মাহফিলে ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের কারণে ইফতার মাহফিল বন্ধ হয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার ইফতারের পূর্বে দাগনভূঞা উপজেলার সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে মকবুলের টেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মাহফিলের জন্য লাগানো ব্যানারে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের নাম থাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সাবেক জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক উপস্থিত হলে তার অনুসারীরা ওই ব্যানার সরিয়ে নতুন ব্যানার লাগানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, এসময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন,
“আমি ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত ছিলাম। ফটিক ও তার অনুসারীরা এসে স্টেজ দখল করে ব্যানার পরিবর্তনের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাঁধে। ওরা মিথ্যাচার করছে, রমজানের দিনে কেউ গাঁজা আনতে পারে না। এসব সাজানো নাটক।”
তিনি আরও জানান, সংঘর্ষের আশঙ্কায় তিনি আগেই থানাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন এবং নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়েছিলেন। সংঘর্ষের সময় তাদের ৮টি মোটরসাইকেল ও ২০টিরও বেশি মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, সাবেক ছাত্রদল নেতা কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, “আমাদের সবাইকে ইফতার মাহফিলে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখি দুটি ব্যানার লাগানো হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা একটি ব্যানার সরানোর চেষ্টা করলে সরোয়ারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ কয়েকজন আহত হই। আমরা স্টেজের পেছনে গাঁজাও উদ্ধার করেছি, যা পুলিশকে দেখানো হয়েছে।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”