আবু ইউসুফ মিন্টু
সারা দেশের ন্যায় পরশুরামেও আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করলেও সাড়ে তিনমাসে এক ছটাক ধানও কিনতে পারেনি পরশুরাম উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ (এলএসডি)।
সংগ্রহকালের সাড়ে ৩ মাস পেরিয়ে গেলে পরশুরাম খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ ছিটেফোঁটা ধানও কিনতে পারেনি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক চলতি মৌসুমে গুদামে ধান নিয়ে আসছেন না বলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তর দাবি করেছেন।
এছাড়াও খাদ্য গুদামে হয়রানি সোনালী ব্যাংক কর্তপক্ষ খাদ্য গুদামে ধান বিক্রেতাদের নিকট আত্বীয়ের ঋনের টাকার কিস্তি কেটে রাখাসহ নানামুখী হয়রানির কারণে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহ হারিয়েছে পরশুরামের কৃষকরা।
উপজেলা খাদ্য গুদাম সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমী পরশুরামে ৩৬২ মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত ২৮ টাকা কেজি দরে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান গত ১৮ই নভেম্বর থেকে শুরু করা হয়। সংগ্রহ অভিযানের মেয়াদ শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সংগ্রহ অভিযান শুরুর সময় অতিবাহিত হলেও এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেননি তারা। ফলে পরশুরামে সংগ্রহ অভিযানের সফলতা আনতে পারেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিবুল হাসান নোমান জানান, সরকার ঘোষিত মূল্যের চেয়ে বাজারে আমন ধানের মূল্য বেশি থাকায় কৃষকরা গুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। ফলে আমন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন এবারের বন্যায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন না হওয়ায় কৃষকরা খাদ্য গুদাম বিক্রি করতে পারছেন না।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা এস এম নুর উদ্দিন বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে রাজি হচ্ছে না। তাই এবার পরশুরামে ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।