নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় নদী খননের কাজ বন্ধ। নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। কাজটি দ্রুত চালু করতে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ চলছে বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ফেনী মুহুরী নদীর পূর্বদিকে সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর, জামতলা এলাকায় নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে এক কোটি বারো লাখ টাকার নদী খননে প্রকল্প বরাদ্দ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। হাসিনা সরকারের পতনের পর সাড়ে ৪শ মিটার নদী ড্রেজিং এর খনন কাজ রেখে পালিয়ে যায় এআর টিএস নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এখন প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানব বন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন জিও ব্যাগ তৈরি করে নদী ড্রেসজিং না করেই কাজ বন্ধ রযেছে। আসছে বর্ষায় আবরো নদী গর্ভে বিলীন হবে কৃষিজমি, বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ স্কুল, মসজিদ ও রাস্তাঘাট। আতঙ্কে দিনরপার করছেন তারা।
ফেনী মুহুরী নদীর পূর্বদিকে সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর, জামতলা এলাকায় নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত নদী খনন কার্যক্রম বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন জিও ব্যাগ প্রস্তুত করেও কাজ করছে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠা।দ্রুত নদী খনন না করায় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে কৃষিজমি, বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ স্কুল, মসজিদ ও রাস্তাঘাট। আতঙ্কে দিনরপার করছেন তারা।
মানববন্ধনের বক্তারা আরো বলেন, মুহুরী নদীর এই এলাকায় নদী বাঁকা হয় প্রতিনিয়ত ভাঙছে বাড়িঘর সহ জনপদ। নদীর পূর্ব সোনাপুর, আমতলা এলাকায় নদীভাঙ্গন রোধে বাঁকা নদী সোজাকরনে দ্রুত নদী খননের বাস্তবায়নের দাবী জানান এলাকাবাসী। তারা বলেন, পতিত স্বৈরাচারদের নেতৃত্বে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করায় এ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে।
স্থানীয় শাহজাহান মিয়া বলেন, নদী ভাঙ্গনের তার ২ শতাংশ বিলীন হয়ে গেছে। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে স্থানীয় বেড়িবাদে আশ্রয় নিয়েছেন। বিগত সময় তার মতো অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি নুর উদ্দিন বলেন, কয়েক গ্রামের মানুষের বাড়িঘর ও সম্পদ বাঁচাতে দ্রুত নদী খননে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি সম্পদ উপদেষ্টার নিকট অনুরোধ জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সোনাগাজী এর সেকশন অফিসার আবু মুছা রকি জানান, ১কোটি ১২ লাখ বরাদ্দের সাড়ে ৪শ ৫০ মিটার ড্রেজিং এর কাজটি করছে এআর টিএস নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা কেন কাজ করছে না তা এখনো জানা যায় নি।
দ্রুত নদী খনন বাস্তবায়নের দাবীতে মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, সহ সভাপতি আমির হোসেন, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন সমির, আব্দুর রব, আবুল কালাম, ফারুক হোসেন, সেলিম, শাহাবুদ্দিন, ক্ষতিগ্রস্ত সিদ্দিক মাঝি, আবু সাঈদ, রিয়াদ হোসেনসহ শতাধিক এলাকাবাসী।
উক্ত মানববন্দনে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নুর উদ্দিন।
নদী ভাঙ্গনরোধে করনিয় বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাজেদুর রহমান, ঢাকা নিবাহী প্রকৌশলী উম্মে সালমা।