সদর প্রতিনিধি
ফেনী সদরের লেমুয়ার নেয়ামতপুর গ্রামের রবিউল হক পাটোয়ারীর ছোট ছেলে দলিল লিখক জাফর উল্লাহ কে ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর তার পরিবারের সদস্যরা জীবন ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানা যায় । এ নিয়ে দৈনিক আমার ফেনী পত্রিকার গত ১৮ই ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গতবছরের সোমবার (১৬ ই ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে জাফর উল্লাহ সিদ্দিককে একদল দুবৃর্ত্ত মুখে মাক্স পরে মমতাজ মিয়া বাজারের একটি দোকানে ভিতরে নিয়ে ব্যাপক মারধরের ঘটনা করে। এ ঘটনার পর বর্তমানে জাফর দীর্ঘদিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানান তার ভাই সবুজ।
জাফর ও তার পরিবারের সূত্র মতে ৪ই ডিসেম্বর দেশের জনপ্রিয় ব্যক্তি ব্যারিস্টার আব্দুল মতিন এলজিবিটিকে সমর্থন করে বক্তব্য দেয়। সে বক্তব্যকে সমর্থন করে এল জি বি টি কে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমর্থন ও এলজিবিটির জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আলাদা আইন প্রতিষ্ঠা করা করার পক্ষে পোস্ট করেন। এই পোস্ট কে কেন্দ্র করে ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে, মেসেঞ্জার ও মোবাইল ফোনে মেরে ফেলা ও মারধরের হুমকি আসতে থাকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে জাফর উল্লাহ সিদ্দিকী নিজের নিরাপত্তার কথায় চিন্তা করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। হুমকি দেয়া কয়েকজন লোক সাধারণ ডায়রির বিষয়টি জানতে পারলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মেরে ফেলা হুমকি দেয়। সে মোতাবেক তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গত বিজয় দিবসের দিন শনিবার দুপুর ২ টায় তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাজার মমতাজ মিয়ায় কেনাকাটা করতে গেলে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে।এক পর্যায় তাকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করলে সে দৌড়ে পালানোর সময় অন্য আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে ঘেরাও করে দেশীয় লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে
তারা চলে যায়। পরবর্তীতে পাশ্ববর্তী দোকান মালিক ও অন্যরা এসে দ্রুত তাকে ফেনী জোনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে জাফর উল্ল্যাহ ছিদ্দিক প্রতিবেদককে জানান’ আমি চরম নিরাপত্তা হীনতায় বসবাস করছি। আমার পরিবার ব্যাপক দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। এলাকার কিছু দুবৃর্ত্তদের কবলে বর্তমানে আমি ঘর ছাড়া। আমার পরিবার ও নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে। আমার বাড়িতে ঘরে হামলা করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।