নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শহীদ সরোয়ার জাহান মাসুদসহ সকল শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বেকের বাজার আল-মদিনা কমিউনিটি সেন্টারে মাতুভূঞা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য মাহাবুবুল হক রিপন। মাতুভূঞা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কবির আহাম্মদ পেয়ার, সিন্দুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হুদা, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপি নেতা ঈসমাইল হোসেন সবুজ ও জেলা যুবদলের কার্যনির্বাহী সদস্য পেয়ার আহাম্মদ আকাশ।
এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, তার অঙ্গ সংগঠন ও পুলিশসহ সকল বাহিনী দিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর নির্যাতন, নিপীড়ন, গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা কর্মীদের লাগাতার হয়রানি করে চলেছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দিদার ও চেয়ারম্যান মামুন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা দাগনভূঞায় রামরাজত্ব কায়েম করেছিল। স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দলের লোকেরা বিরোধী দলকে রাজাকার ও সন্ত্রাসী বলে অপমান অপদস্ত করা নিত্যদিনের কাজ ছিলো। মহান আল্লাহ্ অশেষ মেহেরবানীতে ছাত্র- জনতার ১ দফার আন্দোলনে ছাত্রসহ সাধারণ মানুষ, অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুর বিনিময়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়, শেখ হাসিনা পালিয়ে চলে যায় বিদেশে। আমাদের নেতা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের সাথে সাথে আমাদেরকে কঠোর নির্দেশনা দেন জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে দেশের মানুষের জান-মাল, ঘর-বাড়ি জনগণকে সাথে নিয়ে রক্ষা করতে। আমরা যেন স্বৈরাচারদের প্রতি
হিংসা ত্যাগ করে দেশের জনগণের দায়িত্ব নিতে। ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের জনগণকে
সাথে নিয়ে একটি সুখী, সুন্দর, উন্নত ও সমৃদ্ধির রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যেতে। আলোচনা সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শহীদ সরোয়ার জাহান মাসুদসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বেকের বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নিজাম উদ্দিন খন্দকার।