নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ঈদে আজম উদযাপন উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ইমাম হায়াতের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তফসিরুল কোরআন মাশাহেদুল ঈমানের প্রণেতা ও পবিত্র বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তাফহিমুল বোখারী শরীফের প্রণেতা হাফেজ সৈয়দ সাইফুর রহমান নিজামী শাহ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আল্লামা মুফতি রেজাউল কায়সারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের মহাসচিব শেখ রায়হান রাহবার, কেন্দ্রীয় নেতা আরেফ সারতাজ রাশেদ, শেক নঈমু্দ্দীন, হাফেজ ইলিয়াছ শাহ ও এমদাদুল হক সায়ীফ। এসময় প্রধান মেহমান ইমাম হায়াত বলেন, দয়াময় আল্লাহতাআলার সর্বোচ্চ রহমত রূপে সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সত্যের আলো ও মুক্তির উৎস এবং সকল গুণ ও জ্ঞান সকল কল্যাণের মূল হিসেবে দুনিয়ায় প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমন দয়াময় আল্লাহতাআলাকে পাওয়ার পরম শোকরিয়া সবোর্চ্চ ঈদ ঈদে আজম। দয়াময় স্রষ্টার মহান রাসুল ই সর্বসৃষ্টির জন্য স্রষ্টার আলো ও বন্ধন এবং সর্বোচ্চ অনুগ্রহ; স্রষ্টার পক্ষ থেকে মহান রাসুল ই সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সকল জ্ঞান ওবিজ্ঞান, সকল গুণ ও সকল কল্যাণের উৎস।
মহান রাসুল ই জীবনের জ্ঞান ও মানবতার প্রাণ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সত্য ও মানবতার মহান রাসুলের দিশা ব্যতীত স্রষ্টার বন্ধন যেমন হয় না, তেমনি মহান রাসুলের দিশা ব্যতীত মানবিক অস্তিত্ব, মানবজীবন, জীবনের রাষ্ট্র ও জীবনের দুনিয়াও হয় না। এসময় বক্তারা আরও
বলেন, মহান রাসুলের দিশা ব্যতীত জীবন ও জগত মিথ্যা, অবিচার, শোষণ, সন্ত্রাস, পাশবতা, দস্যুতা, স্বৈরতার শিকারে রুদ্ধ ও ধ্বংস হয়ে যায়। সমাবেশের পর আনন্দ র্যালি শহরের মিজান ময়দান থেকে শুরু হয়ে কলেজ রোড, ট্রাংক রোড হয়ে মিজান ময়দানে সালাতু সালাম ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন ফেনী জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা নুরুল হক ভূঁঞা, সাধারণ সম্পাদক হাসান আবরার, সহ-সভাপতি গোলাম সরওয়ার, সাধারণ সম্পদক আল্লামা হাসান আবরার, সাংবাদিক নেতা জিয়া উদ্দিন সোহাগ,
পীর মাশায়েখ, ওলামায়ে কেরাম, চিন্তাবিদ, গবেষক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও ব্যাপক সংখ্যাক ধর্মপ্রাণ জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।