১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • টপ নিউজ >> দেশজুড়ে >> ফেনী
  • ফেনীতে নেই বন্যার আশঙ্কা
  • গেলবন্যায় ৮৮২ বর্গ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত

    ফেনীতে নেই বন্যার আশঙ্কা

    দৈনিক আমার ফেনী

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র দেশের পূর্বাঞ্চলের ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেটে স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা করলেও ফেনীতে এই মুহুর্তে বন্যার কোন আশঙ্কা নেই বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার অনেক নিচে দিয়ে প্রাবহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহি প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ারের কাছে এ ব্যাপারে জানতে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    স্থানীয়রা জানান, ফেনীতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হলেও এখনও তীব্র বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। স্থানীয় নদীগুলোর পানি এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। পানিও এখনও বিপদ সীমার অনেক নিচে আছে।

    প্রসঙ্গত: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে গত আগস্ট মাসের ২০ তারিখ ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী প্লাবিত হয়। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পুরো জেলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসন গত বুধবার জেলার মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

    জেলা প্রশাসকের তথ্য অনুযায়ি বন্যায় জেলার মোট ৮৮২.২৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার আধাপাকা ও কাঁচা ঘরের মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৮৩৫০টি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৬০৬৮টি ঘর। এর মধ্যে আধাপাকা ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৫৫টি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৩২টি। কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮ হাজার ৯৫টি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৩ হাজার ৪৩৩টি।

    সরকারি ও বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট আশ্রয় নিয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫০জন। দুর্যোগে আক্রান্ত আশ্রয়গ্রহণকারী ব্যক্তির সংখ্যা ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫০ জন। তারা নিজ বাড়িতে, উঁচু সড়কে ও বাঁধে অস্থায়ী শিবিরে ছিলেন।

    পশুর মধ্যে ভেড়া ২ হাজার১৬৪, গরু ৩০ হাজার ৬৫০, ছাগল ১১ হাজার ৪৮৭, মহিষ ১৯৪, মুরগি ৫৭ লাখ ২১ হাজার ৩০১ ও হাঁস ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৭টি মৃত্যুবরণ করেছ। ৩৩ হাজার ২৮ হেক্টর শস্যক্ষেত, ১ হাজার৪২৪ হেক্টর বীজতলা ৪৪৬৬৫.২৪ হেক্টর হেচাররি, মৎস, চিংড়ি ঢ়ের, মৎস বিজরণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭০৭.৫০ কিলোমিটার বিদ্রূৎ লাইন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
    ৫৪টি মসজদি সম্পূর্ণ ১হাজার২৪২টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১টি মন্দির সম্পূর্ণ ও ২০০টি মন্দির আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েঠে।
    ৯২.৮১ কিলোমিটার পাকা সড়ক সম্পূর্ণ ও ৪৮১.৮২ কিলোমিটার পাকা সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১টিব্রিজ সম্পূর্ণ ও ২টি আংশিক, ২টি কালভার্ট সম্পূর্ণ ও ২১টি আংশিক ইট ও খোয়ার সড়ক সম্পূর্ণ ১২.৫০ কিলোমিটার ও আংশিক ৩২.৭০ কিলোমিটারসড়কপথ ২০১.৩১ সম্পূর্ণ ও ১হাজার ৩০৩৫.৮২ কিলোমিটার াাংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
    ২৩ হেক্টর বনায়ন সম্পূর্ণ ও ৪৯ হেক্টর আংশিক ২১ হাজার ৭৫ হেক্টর নার্সারী সম্পূর্ণ ও ৩৬.৫০ হেক্টর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৯টি উচ্চ বিদ্যালয়২০টিকলেজ৮৮টি মাদ্রাসা, ৫টি কমিউনিটি স্তুল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২টি মাদ্রাসা ও ১চি কমিউনিটি স্কুল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩টি ক্লিনিক ও ২৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০টি হাসপাতাল, ২টি ক্লিনিক ৫১চি কমিউনিটি ক্লিনিক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন

    জাফর উল্লাহ সিদ্দিকির পরিবারকে পুনরায় হুমকি
    নিজ গ্রামে সংবর্ধনা পেলেন ক্রিকেটার আল ফাহাদ
    ফেনীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আকস্মিক মৃত্যু
    পরশুরামে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
    ইট ভাটা ও ব্রিক ফিল্ডে উচ্ছেদ অভিযান
    পরশুরামে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকার মাটি সাবাড়
    ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ বছর ধরে বিকল এক্স-রে মেশিন
    বিএনপির কমিটি ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া