শহর প্রতিনিধি
শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষ্যে শোক মিছিল ও সমাবেশ করেছে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে শহরের পৌর প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের ট্রাংক রোডে, বড় মসজিদ এলাকা ও মডেল থানা পর্যন্ত গিয়ে শেষে শহীদ মিনারের সামনে শোকসভায় মিলিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ. কে. শহীদ খোন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বশর মজুমদার তপন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবিক নেত্রী। উনি পুলিশ, বিজিবি, র্যাবকে নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনে যেন রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয় এর কারণে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় কোন প্রাণহানি ঘটে নাই। আপনারা দেখেছেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করেছেন এই খুনের সাথে যারা জড়িত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদেরকে সনাক্ত করা হবে। খুনিদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই বাংলার মাটিতে যুদ্ধপরাধীদের বিচার হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। আমি আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে। আপনারা দেখেছেন ছাত্রদের মুখোশধারী জামাত শিবিরের ক্যাডাররা ঢাকাসহ সারাদেশে তা-ব চালিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তান্ডবকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ দীর্ঘ ১৬ বছর ফেনীর মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ভালো পরিবেশে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল কাজ সুন্দরভাবে করছে। কিছু মুষ্টিমেয় জামাত শিবিরের ক্যাডাররা ফেনীকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছিল। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজকে থেকে ফেনীসহ সারা বাংলার মাটিতে জামাত-শিবিরের রাজনীতি করার আর কোন সুযোগ নেই।
মিছিলে প্রায় ৩০ হাজার দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।