১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় >> টপ নিউজ >> মতামত
  • এবার কী তবে চেয়ার দখলের দাবি
  • এবার কী তবে চেয়ার দখলের দাবি

    দৈনিক আমার ফেনী

    বিপ্লব কুমার পাল

    কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতা হয়েছে। হামলা-সংঘর্ষ-নাশকতা-গুলিতে প্রকম্পিত ছিল পুরো দেশ। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের, আহতের সংখ্যাও কয়েক হাজার। ধ্বংস হয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এমনকি নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি রাজধানীবাসীর স্বপ্নের মেট্রো স্টেশনও। ছাত্রদর আন্দোলন যেমন ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি দাবির দফাও উঠানামা করেছে। কোটা সংস্কারের এই একটি দাবিটি এখন আর একটি দাবির মধ্যে সীমাবন্ধ নেই। কখনও এক দফা দাবি, কখনও ছয় দফা দাবি, কখনও আট দফা আবার কখনও নয় দফা দাবিতে পরিণত হয়েছে।

    গত ২৩ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সবশেষ নয়টি দাবি উত্থাপন করে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাবি তুলে ধরেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এত কিছুর পরেও আমরা মনে করি মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলেছেন। সেই অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- স্টেকহোল্ডাদের সাথে আলোচনা ব্যতিরেকে এই প্রজ্ঞাপন সমীচীন নয়। আমরা চেয়েছিলাম সব পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এই প্রজ্ঞাপন হবে, যাতে নতুন করে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়। আমরা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম। প্রজ্ঞাপনে প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার। এ বিষয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে নীতিনির্ধারকদের সংলাপ প্রয়োজন। তবে সরকার চাইলে যেকোনো মুহূর্তে কোটা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারে। তাই কোটা ব্যবস্থার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। যেখানে প্রাসঙ্গিক অংশীদারদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। কোটা সম্পর্কে আরও বক্তব্য আছে। কিন্তু তার আগে সংলাপের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।’

    অর্থাৎ কোটা সংস্কারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা এই মুহূর্তে মানছে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও মানতে চাইছে না। সেই সাথে নতুন করে আরেকটি দাবি করেছেন। তা হলো-স্টেকহোল্ডাদের সাথে আলোচনা করে কোটা সংস্কার এবং কোটা ব্যবস্থার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন। কেন স্টেকহোল্ডাদের সাথে আলোচনা করতে হবে তারও জবাব দিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলেননি। তবে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য এক শতাংশ কোটার বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য স্টেকহোল্ডাদের সাথে আলোচনা দাবি করেছেন। পাশাপাশি কোটা ব্যবস্থার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন নতুন আরেকটি দাবি তুলেছেন তারা। যেখানে প্রাসঙ্গিক অংশীদারদের প্রতিনিধিত্ব অর্থাৎ তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

    অথচ আন্দোলনের শুরুতে তারা যৌক্তিক কোটা সংস্কার চেয়েছিলেন। এখন সেই দাবি বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন আবার নতুন দাবি উঠেছে। এখানেই শেষ নয়। কোটা সম্পর্কে তাদের আরও বক্তব্য আছে। কোটা বিষয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে নীতিনির্ধারকদের সংলাপে সেসব তুলে ধরতে চান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। তাই বলে সরকার যদি এখনই সংলাপের আয়োজন করে, তাতে কিন্তু তারা যোগ দেবে না। সংলাপ আয়োজনের আগে সরকারকে আরও কিছু কাজ করতে হবে। যেমন- সংলাপের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সেই পরিবেশটা কেমন হবে তারও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তারা।

    সংলাপের পরিবেশ তৈরির জন্য চারটি দাবি বাস্তবায়ন চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দাবিগুলো হলো- ১. ইন্টারনেট সচল করতে হবে। ২. কারফিউ প্রত্যাহার করতে হবে। ৩. ক্যাম্পাসগুলো থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের সমন্বয়ে আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. সকল সমন্বয়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই চারটি দাবিই যে শেষ তা কিন্তু নয়, আরও আছে। সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আরও কিছু দাবি-দাওয়া আছে। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে সেই দাবিগুলো আমরা সুস্পষ্টভাবে পেশ করব।’

    সবশেষ দাবির মধ্যে তাদের প্রথম দাবিটি সরকার বাস্তবায়ন করেছে। অর্থাৎ নাশকতার আগুনে পুড়ে যাওয়া ইন্টারনেট সেবা সারা দেশে সচল করেছে। দ্বিতীয় দাবি- কারফিউ প্রত্যাহার না হলেও দিনে সাত ঘণ্টা শিথিল হয়েছে। কোথাও কোথাও সেটি ১০ ঘণ্টাও শিথিল করা হয়েছে। তৃতীয় দাবি- ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নেয়া এবং আবাসিক হল খুলে দেয়া। কিন্তু আবাসিক হলগুলো তো ল-ভন্ড, সেখানে কি এখন বসবাস করার মতো অবস্থা আছে? আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে সরকার ব্যাখ্যা দিয়েছে। সরকার বলছে- আবারও সহিংসতার ষড়যন্ত্র চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। দেশের পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বটে কিন্তু পুরোপুরি হয়নি। এখনই যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় সরকার, এরপর যদি অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটনা ঘটে এর দায় কে নেবে? দেশের স্বার্থে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারকে কিছু দিন সময় দেয়া প্রয়োজন। কারণ সুযোগ সন্ধানীরা এখনও দমে যায়নি। সেটিও বুঝতে হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের।

    কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে সরকার সংলাপ করতে চেয়েছিল। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। আবার যদি সরকার সংলাপে বসতে চায়, আবার যদি আন্দোলকারীরা বলে- লাশ ও রক্তের উপর দাঁড়িয়ে কোনো সংলাপ হবে না। তখন কি করবে সরকার? কারণ রক্তের দাগ তো এখনও মুছে যায়নি। কালকেই যদি সরকার সংলাপের কথা বলে তখন কি তারা সংলাপে বসবে? কারণ কোনো হত্যা-সহিংসতার বিচার এখনও হয়নি। তাদের ভাষায় লাশের উপর দাঁড়িয়ে কোনো সংলাপে বসবে না, তাহলে এখন কিভাবে তারা সংলাপে বসবে?

    চার নম্বর দাবি হলো- সকল সমন্বয়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশ্ন হলো- তারা কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে? তাহলে টানা সহিংসতার মধ্যে তারা কেমন ছিলেন। কোনো নিরাপত্তা ছিল না। ধারাবাহিক বিবৃতি দিয়েছে, মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেছেন, সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তারা তো সাংগঠনিক সব কর্মকা-ই করেছেন। এমনকি সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত করেছেন। সরকার বাধা দিলে তারা কি এভাবে প্রকাশ্যে আসতে পারতেন? যেহেতু আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তৃতীয় পক্ষ ফায়দা লুটের চেষ্টা করছে। তৃতীয় পক্ষ এর সুযোগ নিয়ে সমন্বয়কারীদের উপরও হামলা হতে পারতো। তখন তো দোষ সরকারের ঘাড়েই আসতো। নিজেদের স্বার্থে সরকার তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। অথচ কোনো কোনো সমন্বয়কারী বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের যাওয়া নিয়েও সমালোচনা করেছেন। পুলিশ যদি তাদের খোঁজ-খবর না রাখে তাহলে নিরাপত্তা দিবে কিভাবে?

    এই চারটি দাবি সরকার মেনে নিলে তবে বাকি আটটি দাবি নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা হতে পারে জানান আন্দোলনকারীরা। অর্থাৎ আগে চারটি দাবি মানতে হবে, এরপর বাকি আট দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা বসবেন ছাত্র নেতারা। এই আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নিহতদের ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে গ্রেফতার ও বিচার। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা, মাসিক ভাতা ও তাদের পিতা–মাতার মতামতের ভিত্তিতে একজন সদস্যকে চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া। সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে প্রশাসনিকভাবে সিট বরাদ্দ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করা এবং ছাত্র সংসদ চালু করা, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সব শিক্ষার্থীকে সব ধরনের রাজনৈতিক, আইনি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মাধ্যমে একাডেমিক হয়রানি না করার নিশ্চয়তা দেওয়া।

    তাদের এই আট দফার অনেক কিছুই এরইমধ্যে বাস্তবায়নও হয়ে গেছে। যেমন- এক. নিহতদের প্রতিটি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। দুই. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিন. বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার; কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলার তথ্য চেয়েছে সরকার, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইনমন্ত্রী। চার. কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে একাডেমিক হয়রানি না করার নিশ্চয়তা দিয়েছে সরকার। আট দফার বেশির ভাগ দাবি যখন সরকার পূরণ করেছে তখন সেই দাবি নিয়ে কিভাবে সংলাপ হতে পারে?

    সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নম্বর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উসকানিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ দমনপীড়ন চালিয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা চালায়। এটা অনাকাঙ্খিত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তখন আমরা অভিভাবক, স্কুল-কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে আমাদের নিরাপত্তার আহ্বান জানাই। পরে আমরা দেখতে পাই, সারা দেশে একটি ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন করে শিক্ষার্থীদের হল থেকে বিতাড়িত করা হয়, যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। পরে সেনাবাহিনী নামিয়ে কারফিউ জারি করা হয়। এই পরিস্থিতির সুযোগে পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য দুর্বৃত্তরা নাশকতা করে রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় আগুন লাগায় এবং যানমালের ক্ষতি করে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে এই ধরনের সহিংস ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা স্পষ্ট সরকারের দায়িত্বহীন আচরণ ও দমনপীড়নের জন্য এই অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই দায় সম্পূর্ণভাবে সরকারকে নিতে হবে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।”

    সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম স্পষ্টতই বলেছেন, তাদের আহবানে সর্বস্তরের জনসাধারণ রাজপথে নেমেছেন। আন্দোলনের বিক্ষোভ থেকেই রাজপথে প্রতিবাদ হয়েছে, সরকারি স্থাপনায় হামলা হয়েছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কারাগার থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও তাদের অফিসে হামলা হয়েছে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানুষকে রাস্তায় নামতে আহবান জানানো হয়েছে। যখন সহিংসতার আগুনে দেশ জ্বলছিল তখন কেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো বিবৃতি দিলো না, কেন তারা সহিংসতা না করার আহবান জানালো না। নাশকতার ভয়াবহতা যখন প্রকাশ্যে এসেছে তারপর তারা বলছেন, নাশকতা তারা সমর্থন করেনা। আপনারই বলছেন- সবাইকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানিয়েছেন, সবাই তো নেমেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেয়েছে, গান পাউডার দিয়ে সরকারি অফিস পুড়িয়েছে, জঙ্গিদের ছিনিয়ে নিয়েছে। তাহলে নাশকতার দায় কেন তারা নেবেন না?

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সারা দেশে নির্বিচারে মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আহ্বান থাকবে ছাত্র-জনতার মুখোমুখি আর দাঁড়াবেন না। আর একটি গুলিও যাতে কাউকে হত্যার উদ্দেশ্যে না ছোড়া হয়। গোটা সহিংসতায় তিন জন পুলিশ, একজন আনসার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে দুই সাংবাদিককে, খুন হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী। এক নারী সাংবাদিক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। মেট্রোস্টেশন, বিটিভিসহ সরকারি অফিসে ধারাবাহিক হামলা হয়েছে। নাশকতাকারীরা পরিকল্পিতভাবে গান পাউডার ব্যবহার করেছে। যারা এই নাশকতা চালিয়েছে, তাদের কি সরকার গ্রেফতার করবে না? নাশকতাকারীরা কি আন্দোলনের কেউ, তাদের কেন গ্রেফতার করা যাবে না? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা হলে তারা কি বসে বসে মার খাবে? প্রতিহত করবে না?

    কোটা সংস্কার করাই তো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য ছিল। সেটি তো উচ্চ আদালত বাস্তবায়ন করেই দিয়েছেন। সরকার তা কার্যকর করেছে। তাহলে এখনও কেন কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন জিইয়ে রাখা হচ্ছে? ছাত্র নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে তারা রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, লক্ষ্য যেন সেই কাঙ্খিত চেয়ার। চেয়ার যদি একমাত্র লক্ষ্য হয় তাহলে ইনিয়ে বিনিয়ে না বলে এবার ঝেড়ে কাশুন। প্রয়োজনে নূরুল হক নূরুর মতো ছাত্রত্ব ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নামুন।

    লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।

    আরও পড়ুন

    ফেনী কলেজ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি সাজ্জাদ, সেক্রেটারি মাজেদ
    ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল নেতা রিয়াদের বিরুদ্ধে
    ফরহাদনগরে বিএনপির ইফতার মাহফিল
    মেহেদির রঙ শুকানোর আগেই যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে হত্যা, শ্বশুড় গ্রেফতার
    ফেনীতে সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণেনয়দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু
    হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন
    দাগনভূঞায় শিক্ষক লাঞ্চনাকারীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
    কোম্পানীগঞ্জে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুড় গ্রেফতার