আবু ইউসুফ মিন্টু
পরশুরামে এক অবিবাহিত প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাসের অন্তসত্তা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় প্রতিবন্ধীর মা বাদী হয়ে পরশুরাম থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ সোমবার (৩ জুন) অভিযুক্ত সেলিমকে খাগড়াছড়ি বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে।
উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনিকুন্ডা গ্রামে এঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত মো. সেলিম উপজেলা চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনিকুন্ডা গ্রামের মো. ছাদেক মিয়ার ছেলে।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর থেকে সিএনজি চালক সেলিম (৫০) পালিয়ে আত্বগোপনে চলে গেলে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে খাগড়াছড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজহার সুত্রে জানা গেছে ডলি আক্তার (৩২) একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাঁর উচ্চতায় সাড়ে তিন ফুট। ঘটনার দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি গরুর জন্য বাড়ির পাশে ঘাস কাটতে গেলে সিএনজি চালক সেলিম তাকে একা পেয়ে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে। একই ভাবে গত ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা তাকে ধর্ষণ করে। এর পর সে অন্তসত্তা হয়ে যায়। বর্তমানে সে সাত মাসের অন্তসত্তা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে গত ১৮ মে হঠাৎ ডলি আক্তার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে অন্তসত্তা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওই প্রতিবন্ধীর মা ১৮মে বিষয়টি ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনকে জানান। জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সেলিম দুই দিনের সময়ে নিয়ে সালিশ বৈঠক থেকে বের হয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে আত্মগোপনে চেলে যায়।
চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি মায়ের কাছ থেকে শুনার পর সেলিমকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেলিম প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে। দুই দিন সময়ে চেয়ে বাড়িতে গিয়ে সে পালিয়ে যায়। তার পর পরিবারের সদস্যদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দিলে ৩০ মে রাতে সেলিমের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসাইন খান বলেন ডলি আক্তার নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
জানা যায়, ডলি নামেও ওই প্রতিবন্ধীর বাবা সাত বছর আগে মারা যায়। তাদের পরিবারের আয় রোজগার করার মতো কেউ নেই। মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। তার আরো দুই ভাই শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী।