শহর প্রতিনিধি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর রামপুর রাস্তার মাথায় নসিমন উল্টে পল্লী বিদ্যুতের এক লাইন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৮ শ্রমিক। নিহতের নাম জাকির হোসেন (৩০)। তিনি দিনাজপুর এলাকার চিরি বন্দর থানার ইউসুফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, পলাশ সরকারের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ১০ জন শ্রমিক খাইয়ারা এলাকায় লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে শহরের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন বাসায় ফেরার পথে রামপুর নাসির মেমোরিয়াল কলেজের সামনে তাদের বহনকারী তিনচাকা নসিমন গাড়ীর চাকার বিস্ফোরণ ঘটে গাড়ি উল্টে যায়। পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আহত অপর সদস্যের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও রশিদ নামে গুরুতর আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার মো. আবু সাঈদ বিশ্বাস। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রুহুল মহসিন সুজন বলেন, নিহত শ্রমিক জাকির হোসেনের মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত দুইজনকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী ৩ জনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
মেসার্স মঞ্জু এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আবু সাঈদ বলেন, যে ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠান এসকল শ্রমিক কাজ করেন তিনি ঘটনার পর থেকে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থায় দৌড়াদৌড়ি করছেন। আমাদের সমিতির নিয়ম অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিক আহত বা নিহত হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চিকিৎসা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জোনায়েদ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. সালাহউদ্দিন বলেন, দূর্ঘটনায় নিহতের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আহত সকলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রমিকদের চিকিৎসাসহ যাবতীয় খরচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করবে। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী নিহতের পরিবারকেও আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক মো. শিপন বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।