কামরুল আরেফিন
রমজান মাস শুরু হতেই সারা দেশের ন্যায় ফেনীতেও বেড়েছে খেজুরের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। খেজুর আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে
জানা যায়, মাএাতিরিক্ত শুল্ক ও এলসি জটিলতার কারণে এ বছর খেজুরের দাম বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য মানতে নারাজ ক্রেতারা। ক্রেতাদের দাবি সিন্ডিকেটের কারণে খেজুরের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলছে। শহরের বড় মসজিদ মার্কেট ও ভিতরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজওয়া জাতের খেজুর প্রতিকেজি ১হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১ হাজার টাকা। মরিয়ম জাতের খেজুর প্রতিকেজি ১ হাজার ১ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৯৮০ টাকা। দাবাস জাতের খেজুর প্রতিকেজি ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ছিল ২৫০ টাকা। শহরের বড় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আবদুল মতিন বলেন, মূলত রমজানকে কেন্দ্র করে খেজুরের দাম বেড়েছে। আমরা খেজুর পাইকারি বেশি দামে কিনে এনেছে তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছে। খেজুর কিনতে আসা আবুল কাশেম লিটন বলেন, রমজানে ইফতারের মেন্যুতে খেজুর রাখতে হয় কিন্তু খেজুরের দাম নাগালের বাইরে। দাবাস জাতের খেজুরের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। ৪৮০ টাকা দরে ১কেজি খেজুর কিনেছি। আসলে সিন্ডিকেটের কাছে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা জিম্মি। খেজুর কিনতে আসা আবদুল জলিল মামুন বলেন, এত দাম দিয়ে খেজুর কিনে ইফতার করা রীতিমতো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ ক্রেতারা এত দাম দিয়ে খেজুর কিনতে পারবে না। সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে না হলে সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব নয়। শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী বলেন, গত মঙ্গলবার বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ভিতরের বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে। গত রমজানের তুলনায় এবারে খেজুরসহ ফলের দাম অত্যন্ত চড়া। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ন রশিদ বলেন, বাজার মনিটরিং চলমান এবং পুরো রমজানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে।