নিজস্ব প্রতিবেদক
হরতাল-অবরোধে নাশকতার আশঙ্কায় দুটি ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ট্রেন দুটি হলো- রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত উত্তরা এক্সপ্রেস এবং ঈশ্বরর্দী থেকে রহনপুর পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন। আরও কয়েকটি ট্রেনের ক্ষেত্রে এধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে জানিয়েছেন রেলেওয়ের কর্মকর্তা।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, মূলত ট্রেন দুটি অনেক রাতে যাত্রা করে। একারণে ট্রেনটির নিরাপত্তা সমস্যা হচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে ট্রেনটি বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু উত্তরা নয় আরও কয়েকটি ট্রেনের ক্ষেত্রে এধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটির চলাচল বন্ধ ঘোষণা দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়ানোর জন্য পার্বতীপুর-রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে চলাচল করা উত্তরা এক্সপ্রেসটির চলাচল ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
গত ১৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে একটি বগির কয়েকটি সিট পুড়ে যায়।
এছাড়া মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে দিনাজপুরের বিরামপুরে রেললাইনের ওপরে স্লিপার ফেলে রেখে নাশকতার চেষ্টা করেছেন হরতাল সমর্থকরা। আনসার বাহিনীর ও গ্রামবাসীর প্রচেষ্টায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রীরা। গত ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে নীলফামারীর ডোমারে রেললাইনের ফিসপ্লেট ক্লিপ খুলে নাশকতার চেষ্টা করেছেন অবরোধ সমর্থকরা। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেন।
নতুন চালু হওয়া কক্সবাজার রেলপথের কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে নাশকতার অপচেষ্টা হয়েছিল।