শহর প্রতিনিধি
বিএনপি দেউলিয়া অনেক আগে হয়ে গেছে। তাদের সক্ষমতা নেই আন্দোলন করে একটি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার। বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডার ফেডারেল আদালতেও তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিএনপি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের যে জঙ্গী সংগঠনগুলো আছে তাদের দিয়ে তারা মাঝে মধ্যে ট্রেনে হামলা চালায়, বাসে আগুন দেয়। তারা কিছু হিরোইনসি ও নাবালককে ভাড়া করে এসব কাজ করায়। তারা কিন্তু মাঠে ময়দানে নেই। এ সংগঠনটি বিলিন হয়ে গেছে। বাংলা ভাইদের যেভাবে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বিএনপিকে সেভাবে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (সদর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহরের একটি কনভেনশন সেন্টারে ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব তিনি এসব কথা বলেন।
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহম্মদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লেিগর সভাপতি আবদুল করিম, ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়নুল কবির শামীম, ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র আলাউদ্দিন, ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মিলন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নিজাম হাজারী আরো বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত কার আওয়ামী লীগের কাজ। আওয়ামী লীগ এরশাদ ও বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে উৎখাত করেছে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কী করে? তাদের রাষ্ট্রপ্রধান কে হবেন তারওতো ঠিক নেই। তারাতো মাথামুন্ডহীন রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাত করে জেল খেটেছেন। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তার ছেলে তারেক জিয়া পলাতক রয়েছেন।
চলমান হরতাল অবরোধ ও রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, জনগন এসব কর্মকান্ডকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনী উৎসবে মেতেছে সর্বস্তরের মানুষ। মানুষ উন্নয়ন চায়, সহিংসতা চায় না।
নির্বাচনের জয়লাভের ব্যাপারে তিনি বলেন, আশা করি আমি নির্বাচিত হবো। বাকী যারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তারাও আশা করছেন নিশ্চই তারা জয়ী হবেন। কে জয়ী হবেন তা আগামী ৭ তারিখ জানা যাবে। ফেনী-৩ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন সেখানে আওয়ামী লীগের কি ভুমিকা থাকবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এব্যাপারে কেন্দ্র থেকে এখনও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। যদি কেন্দ্র থেকে কোন সিদ্ধান্ত আসে তখন দেখা যাবে আওয়ামী লীগের ভূমিকা কি হবে। নির্বাচনী ইশতেহার যথাসময় ঘোষণা করা হবে।
বক্তব্যের শুরুতেই নিজাম হাজারী বলেন, সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে মতবিনিময় এটা নতুন কিছু না। কোথায়ও অনিয়ম হলে সেটা তুলে ধরার দায়িত্ব হচ্ছে সাংবাদিকদের। ফেনীতে আমি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পর থেকে সাংবাদিক বন্ধুদের সহযোগিতা সবসময় পেয়েছি। মূলত আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আপনাদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। আমার মতো একজন নগন্য কর্মীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে পরপর তিন বার মনোনয়ন দিয়েছেন তার জন্য আমি ফেনীবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বিগত ১৫ বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন। আমরা ফেনীবাসী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সারথি হতে চাই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। আপনারা দেখেছেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বিএনপি-জামাতের আন্দোলনের সাথে সাধারণ মানুষের কোন সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপি হচ্ছে একটা মাথামু-হীন দল। তারা কিভাবে নির্বাচন করবে? বিএনপির কে প্রধানমন্ত্রী হবে কে রাষ্ট্রপতি হবে সেটাও তারা জানেন না। ২০১৮ সালে বিএনপি অংশ গ্রহন করেছে। তাদের ভরাডুবি হয়েছে। তখন তারা বলেছে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। ২০২৩-২৪ সালে তারা বলছে তারা নির্বাচন হতে দেবে না। তারা এসকল কথা বারবার বলে আসছে। তারা এসব বলে নিজেদের শান্তনা দিয়ে আসছে। তারা যদি শান্তনা পায় আমাদের হজম করতে অসুবিধা কোথায়। আমি একটা পত্রিকার সম্পাদক। সে হিসাবে আমিও আপনাদের সহকর্মী। আমি এমপি মানে আপনারা সবাই এমপি।