নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লি উএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভারতের নয়াদিল্লি থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ, ভুটান, গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া ডিপিআরকে, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেস্তে বুধবার নয়াদিল্লিতে ডব্লি উএইচওর আঞ্চলিক অধিবেশনের তৃতীয় দিনে ভোটে অংশ নেয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য কমিটি। সায়মা আট ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অপর প্রার্থী, নেপাল মনোনীত ডা. শম্ভু প্রসাদ আচার্য্য পেয়েছেন দুটি ভোট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার দুপুরে তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমরা একটা সুখবর পেয়েছি। খুবই সুখবর। আমরা অনেক দিন ধরেই এ নির্বাচনের জন্য প্রচার চালাচ্ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লি উএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।’
সায়মা ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা এবং একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ-বিশেষ করে অটিজমের ভূমিকার জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ডাব্লি উএইচও-এর মহাপরিচালকের উপদেষ্টা। তার নাম এখন ডাব্লিউএইচও নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪ তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য জমা দেওয়া হবে। আগামী ২২-২৭ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ওই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর তিনি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এর সাথে, সায়মা ওয়াজেদ প্রথম বাংলাদেশি হবেন যিনি ডাব্লি উএইচও -এর আঞ্চলিক বিভাগের অংশ হিসাবে ১৯৪৮ সালে তৈরি করা পদে অধিষ্ঠিত হবেন।
বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদকে মনোনীত করেছিল। ডব্লি উএইচও দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলবিষয়ক অফিস ওই সংস্থার ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে একটি। এটি সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত।
সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।