নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীর মহিপাল থেকে এক পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ফেনীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, গতমাসের ২৮ তারিখ ওই দম্পতি চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে মহিপালে গাড়ির জন্য অপেক্ষারত ছিলো। এমন অবস্থায় অপহরনকারী চক্রের সদস্যরা কৌশলে তাদের একটি মাইক্রোতে তুলে নেয়। পরবর্তী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপোল পৌঁছানোর পর তাদের গামছা দিয়ে চোখ মুখ বেধে জিম্মি করে তাদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।
অপহরনকারীরা এ দম্পতির কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেও তাদের কাছে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, ৪২ হাজার টাকা মূল্যের দুটি স্যামসাং ও একটি নকিয়া মোবাইল ফোন, ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের একজোড়া কানের দুল হাতিয়ে নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আরো ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের নির্যাতনের মুখে বিকাশের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা এনে দেয়ার পর রাত ১০টার দিকে লালপোল এলাকায় দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রী হনুফা বেগম বাদি হয়ে ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় তিনজনকে গতকাল রোববার ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেন।
অপহরণের শিকার ওই দম্পতির বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানায়। পুলিশে চাকুরীর সুবাধে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানায় বসবাস করেন তারা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোট তালতলী এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে মো: চাঁন মিয়া (৫০), বড়বগি ইউনিয়নের রিতুল বাড়িয়া এলাকার জব্বার হাওলাদারের ছেলে হেকিম হাওলাদার (৪০) এবং বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার বোদারপুর ইউনিয়নের জামাল হোসেন খাঁনের ছেলে মকিবুল হাসান (৩০)।
পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।