মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ে উপজেলা পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন মারুফ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় জেলা পর্যায়ে খেলতে গিয়ে প্রথম রাউন্ডে রাউজানের সাথে ১-০ গোলে পরাজিত হয়। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টায় চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মারুফ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ জন খেলোয়াড়কে জমাকৃত কাগজ পত্রে গড়মিলের কারণে খেলতে দেয়া হয়নি বলে জানা যায়। কারো রেজিস্ট্রেশন কার্ড লেমিনেটিং থাকা এবং প্রত্যয়নপত্রের সাথে ছবি সত্যায়িত না করার অভিযোগে তাদের খেলার অনুমতি দেয়া হয়নি। বিপক্ষ টিমের বেশ কয়েকজনকে একই অভিযোগে খেলতে দেয়নি বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য , গত রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মিরসরাইয়ে ৫০ তম গ্রীষ্মকালীন উপজেলা আন্তঃস্কুল মাদরাসা ফুটবল টুর্নামেন্ট এর ফাইনাল খেলায় ট্রাইবেকে করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-২ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মারুফ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। মিঠাছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকেলে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
মারুফ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন এবিষয়ে বলেন, জেলা পর্যায়ে আমরা এই প্রথম টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করি। নির্দেশিকা মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে কিছুটা জটিলতা থাকায় তারা আমাদের কয়েকজন প্লেয়ারকে খেলতে দেয়নি। এখনো যদি মিরসরাইয়ে কেউ প্রুভ করতে পারে আমরা বয়স্ক বা বাহিরের প্লেয়ার নিয়েছি তাহলে আমরা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিজেরা গিয়ে দিয়ে আসব। খেলায় হারজিত থাকবে তাই বলে এই অনৈতিকতা দিয়ে না। ছাত্ররা কি শিখবে তাহলে আমাদের থেকে।
করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ফাইনাল খেলায় মারুফ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর কয়েকজন খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ দিয়েছিলাম।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খান বলেন, জেলা থেকে জানানো হয়েছে তাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ত্রুটি ছিল। তারা প্রথমবারের মত জেলা পর্যায়ে খেলতে গিয়েছিল তাই তারা ডকুমেন্টসের বিষয়ে এভাবে
জানতো না। বিশেষ করে ৭ম, ৮ম শ্রেণীর ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড না থাকায় প্রত্যয়ন পত্রের সাথে আলাদা ছবিসহ সত্যায়িত করার কথা সেটা তারা করেনি এবং নবম দশম শ্রেণীর ছাত্রদের কয়েকজনের রেজিস্ট্রেশন কার্ড লেমিনেটিং করা ছিল। ফাইনাল খেলায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ফাইনাল খেলার শেষ মুহূর্তে তারা একটু অভিযোগ দেন। তখন খেলার ফলাফল অলরেডি হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা শুরুতে তাদের যথাযথভাবে জাস্টিফাই করে খেলার অনুমতি দিয়েছিলাম।