নিজস্ব প্রতিনিধি
আন্দোলনের নামে ফেনীতে কোন ধরনের সহিংসতা মেনে নেয়া হবে না। কেউ যদি শান্তিপূর্ণ গনতান্ত্রিক আন্দোলন করতে চায় তাতে কোন বাধা দেয়া হবে না। আগামীর নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপিও এ নির্বাচন অংশ নিবে বলে মন্তব্য করেছেন ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। গতকাল সোমবার সংস্কার কাজ শেষে নতুন আঙ্গিকে সাজানো ফেনী প্রেসক্লাব ভবনের উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, আমি একটি পত্রিকার সম্পাদক হলেও কোনদিন ফেনী প্রেসক্লাবের সদস্য হবো না। তবে সকল কাজে আমি পেছন থেকে সহযোগিতা করব। কখনোই সামনে আসব না। সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। আমি চেষ্টা করি আপনাদের মনোমালিন্য মিটিয়ে দিতে। প্রেসক্লাব বন্ধ থাকা জন প্রতিনিধিদের জন্য অসম্মানের বিষয়, লজ্জার বিষয়। আমি চেয়েছি সবাই মিলেমিশে সুন্দর পরিবেশে যাতে বসতে পারেন। আমার পরিবারের মধ্যে (সাংবাদিকদের) মান-অভিমান থাকবে কিন্তু মান-অভিমান যেন সহিংসতায় রূপ না নেয় সেদিক সবাইকে নজর রাখতে হবে। সাংবাদিকদের লেখনির জন্য ঠান্ডা পরিবেশ প্রয়োজন তাই আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রেসক্লাবে ২টি এসি (পরবর্তীতে ফোনে তিনটি এসির কথা বলেছে) আগামিকাল মঙ্গলবার লাগিয়ে দেয়া হবে। প্রেসক্লাবের জন্য নতুন করে আসবাবপত্র দেয়া হবে। এসময় তিনি আসবাবপত্রের তালিকা দিতে সাংবাদিকদের বলেন।
নিজাম হাজারী বলেন, সাংবদিকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার কারণে আজকে আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি। তাই আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং আমার এই কৃতজ্ঞতাবোধ অতীতেও ছিল, এখনও আছে এবং আগামীতেও থাকবে। শহরের ফুটপাত উচ্ছেদ, নাম্বারবিহীন সিএনজি অটোরিকশা ও অবৈধ টমটম চলাচলের ক্ষেত্রে আগামীকাল থেকে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা কিমিটির বৈঠকে আমি অভিযান পরিচালনা করার জন্য বলেছি। অভিযানে সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
ফেনী শহরে সব বহিরাগত এসে ভিক্ষা করে বলে নিজাম হাজারী এমপি দাবী করে বলেন, ইসলাম ভিক্ষাকে সন্মানের সহিত দেখেনি। আমরা আমাদের শহরে বাহিরের কোন ভিক্ষুককে ভিক্ষা করতে দেবো না। এতে আমাদের সন্মান ক্ষুন্ন হয়। অনেক ভিক্ষুক আছে যাদের অনেক টাকা তারপরও তার ভিক্ষা করে। ট্রাংক রোডে হাত-পা ছাড়া এক ভিক্ষুক আজ ১০ বছর ধরে একি জায়গায় ভিক্ষা করছে। তাকে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরানের জন্য সাবেক পুলিশ সুপার একটি সিএনজি ও নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়েছে। মেয়র স্বপন মিয়াজী দিয়েছে ৩০ হাজার টাকা। অনেকজন থেকে হাজার হাজার টাকা তুলেও দেয়া হয়েছে। তারপরও সে ভিক্ষা ছাড়েনি। এটা পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।