৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> জাতীয় >> টপ নিউজ >> ফেনী >> রাজনীতি
  • ফেনীতে খোলস পাল্টিয়ে মাঠে জামায়াত শিবির
  • ব্লাড ডোনেশন ক্লাব, সামাজিক, মানবিক সংগঠনের নামে রাজপথে শিবির

    ফেনীতে খোলস পাল্টিয়ে মাঠে জামায়াত শিবির

    দৈনিক আমার ফেনী

    জমির বেগ
    ফেনীতে খোলস পাল্টিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির। দীর্ঘ এক যুগ ধরে ছাত্র শিবির তাদের খোলস পাল্টিয়ে মাঠে থাকলেও গত শুক্রবার জামায়াতে ইসলামী মাঠে নেমেছেন জেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে। সুইডেনে পবিত্র আল-কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে গত শুক্রবার শহরের জহিরিয়া মসজিদের সামনে থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার জহিরিয়া মসজিদের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত আলাচনা সভার আয়োজন করেন।
    ফেনী জেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি ও ফেনী ফালাহিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি ফারুক আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি রফিকুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সংগঠনটির সদস্য শামসুদ্দিন আহম্মদ, পৌর জামায়াতে আমীর আ.ন.ম আবদুর রহিম, ফেনী জেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা নূর মোহাম্মদ, সহ-সম্পাদক মাওলানা আবুল কাশে, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা নাজমুল আহসান, মুফতি আবদুল হান্নান, মো. ইলয়িাছসহ জামায়াতের বিভিন্ন শ্রেণীর নেতৃবৃন্দ।
    জানা যায়, শুক্রবার শহরে জামায়াত বিক্ষোভ করতে পারে এমন গুঞ্জনে আগে থেকে পুরো জেলাজুড়ে বিশেষ অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিষয়টি জানতে পেরে ও কৌশলগতভাবে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে জামায়াত বিক্ষোভ মিছিলটি করেন। মিছিলটিকে তারা টেস্ট কেইস হিসেবে নিয়েছেন বলেও জানা যায়।
    এদিকে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির প্রায় একযুগ আগেই খোলস পাল্টিয়ে রাজপথে নেমে পরেছেন। তারা তখন থেকেই তাদের সংগঠনকে গতীশীল রাখতে ভেতরে ভেতরে কাজ করে যাচ্ছে। জানা যায় পৌর ছাত্র শিবিরের ত্তত্ত¡াবধানে শহরের অন্তত ৭টি ব্লাড ডোনেশন ক্লাব চালাচ্ছেন শিবির। ব্লাড ডোনেশন ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন মানবিক ও সামজিক সংগঠনের নামে তারা তাদের সদস্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচীর সময় তারা নিজেদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করছেন। জানা যায় জামায়াত তাদের পছন্দ করা এসব কর্মীদের সাথে কখন মোবাইলে কথা বলেন না। তারা নির্দিষ্ট সময় ইমো ও ওয়াটঅ্যাপের মাধ্যমেই যোগাযোগ করেন। নিয়মিত টেলিকনফরেন্সও তারা করে থাকেন। বিশেষ কারণ ছাড়া কখনও সিনিয়র বা রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্তদের সাথে তারা মিলিত হন না।
    করোনাকালে অক্সিজেন সেবা, সিলেটে ও দেশের বিভন্ন জেলায় বন্যা, রোহিঙ্গা সমস্যা, পবিত্র রমজানে ইফতার ও সাহরি বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে জামায়াত তাদের এসকল সংগঠনের মাধ্যমে কার্যক্রম পুরোদমে পরিচালনা করেছেন এখনও ব্লাড ডোনেশন ক্লাবের কর্মসূচীর আড়ালের তার দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। জামায়াতের এসকল সংগঠনকে শতভাগ সহযোগিতা করেছেন এক শ্রেণির হাইবিট বা উর্বর আওয়ামী লীগ নেতারা। শিবিরের এসব এজেন্টদের আদর্শ উদ্দেশ্য না জেনে আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতাও তাদের দিকে বাড়িয়ে রেখেছেন সহযোগীতার হাত।
    বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, জামায়াত নেতারা শিবিরের অপিরিচিত ও তুখোড় ছাত্রদের কর্মশালার মাধ্যমে ট্রেনিং দিয়ে মাঠে নামিয়ে রেখেছে। তাদের দেয়া হয়েছে কর্মী সংগ্রহের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার। তাদের দিয়ে জামায়াতের কিছু কৌশলী কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে।
    বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, অপিরিচিত শিবিরের কিছু কর্মীকে প্রায় এক যুগ আগে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন জামায়াত। প্রতি বছরই এ দলে দুই একজন করে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে এসকল কর্মীদের মধ্যে কিছু কর্মী প্রথমেই সামাজের কাছে নিজেদের বাউন্ডেল, উড়োধুরো হিসেবে পরিচয় করছেন। আবার কেউ নিজেকে প্রগতিশীল প্রমান করছেন। মিশে যাচ্ছে দলমত নির্বিশেষে সকল দলের নেতা কর্মীদের সাথে। পরছেন আধুনিক পোশাক। সময়ের প্রয়োজনে করছেন নেশাও। শিবির কর্মীরা জেনা-ধর্ষণ করতে পারে, সুদ-ঘুষ খেতে পারে এমন একটি ধারনা সাধারণ মানুষের কাছে থাকলেও, সাধারণ মানুষের বিশ্বাস তারা নেশা করে না। এ সুযোগকে কাজে লাহগাতে তাদের মধ্যে কেউ নেশাও করছে বলে জানা যায়। আরো জানা যায়, শিবিরের এসব কর্মীকে দ্বিতীয় ধাপে রিক্রুট করা গণমাধ্যম কর্মীদের একটি অংশ প্রকাশ্যে নিয়ে আসছেন। তাদের প্রথমে গণমাধ্যম কর্মীরাই সমাজের প্রভাবশালী, অর্থশালী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে পরিচয় করে দিচ্ছেন। এক সময় তাদের কৌশলে বানিয়ে দেয়া হচ্ছে সাংস্কৃতিক কর্মী, মানবিক কর্মী ও সামজিক কর্মী হিসেবে। পরবর্তীতে গণমাধ্যমের ওই সকল কর্মীরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন কর্মসূচী ঢালাওভাবে প্রচার করছেন। এক সময় তাদের বানিয়ে দেয়া হচ্ছে বড় মাফের মানবিক কর্মী হিসেবে। পরিকল্পীত ভাবে তাদেরকে আবার শ্রেষ্ঠ পরিচয় দিয়ে অন্য কোন সংগঠনের মাধ্যমে পুরষ্কৃতও করা হচ্ছে।
    ফেনী শহরের ফালাহিয়া মাদরাসা এলাকা ও শাহীন একাডেমি স্কুল এলাকা একসময় জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। এই দুই এলাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানের চারপাশে জামায়াত নেতারা জমি কিনে বাসা-বাড়ি করে গড়েছেন নিজেদের আস্তানা। বর্তমানে এ দুটি এলাকায় তাদের দৃশ্যত কোন প্রভাব না দেখা গেলেও বাস্তবে দুটি এলাকাই রয়েছেন তাদের একটি ভলো অবস্থান। বিশেষ করে শহরের শাহীন একাডেমি রোডে বর্তমানে যুবলীগ এক নেতার দখলদারিত্বে থাকলেও বাস্তবে এখানে নেই তাদের কোন জনসমর্থন। জানা যায় এই এলাকায় যারা দখলদারিত্বে রয়েছেন তাদের দলীয় প্রধান সোনাগাজীর বাসীন্দা। তার সাথে রয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার আরো দুই চারজন। এই এলাকায় নেই তাদের নিজস্ব কোন বাড়ি। গ্রæপ প্রধানকে ঘিরে এই এলাকায় রয়েছেন ব্যক্তিগত শতাধিক সদস্যের একটি সন্ত্রাসী গ্রæপ। যাদের সকলেই রংপুর, খুলনা, চাপাই নবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা সকলেই আবার বস্তিবাসী বলে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন এলাকাটি ক্ষমতাসীনদের দখলে থাকলেও এ গ্রপের সদস্যদের আচার-আচরন ও চলন-বলনে বেহায়াপনার কারেন এই এলাকায় তারা সৃষ্টি করতে পারেনি একজন কর্মীও। তাদের আচরনে এলাকাটিতে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে জন্ম নিয়েছে নেতিবাচক ধারনা। অন্য দিকে ফালাহিয়া মাদরাসা এলাকায়ও জামায়াতের অবস্থান রয়েছে আগের মতো। বিভিন্ন জরিপে জানা যায় এলাকা দুইটি এতো বছর ক্ষমতাসীন দলের দখলদারিত্ব থাকলেও এই এলাকাগুলো তার বা বিএনপি একজন কর্মীও সৃষ্টি করতে পারেনি। জামায়াত পরিবার থেকে একজনকেও অন্য সংগঠনগুলো তাদের আদর্শ উদ্দেশ্য বুঝিয়ে নিজ দলে আনতে পারেনি। সুতরাং জামায়াত শিবির ধরে রেখেছে আগের অবস্থান। কথা প্রসঙ্গে জামায়াত শিবিরের কয়েক নেতা জানান, শাহীন একাডেমিসহ তাদের অঘোষিত ঘাঁটিগুলো বর্তমানে যারাই নিয়ন্ত্রণ করছেন তাদের হটিয়ে দেয়া তাদের জন্য মামলি ব্যাপার। তারা বলেন, জামায়াত যদি আন্দোলনে নামে, কেন্দ্র থেকে যদি জামায়াতকে আন্দোলনে নামতে নির্দেশনা দেয়া হয় তাহলে শিবির কর্মীদের ¯্রােতে এক নিমিষেই শাহীন একাডেমি এলাকাসহ ফালাহিয়া মাদরসা এলাকা নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেবে। এটা তাদের জন্য মামলি ব্যাপার। তাদের কর্মীরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। হয়তো পুলিশের কারনে নিজেদের আড়াল করে রেখেছে।
    ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর শামসুদ্দিন আহম্মদ বলেন আসলে আমরা পুলিশের কারনে কোন কর্মসূচী পালন করতে পারছিনা। কোথায়ও বসলে বলা হয় গোপন বৈঠক করা হচ্ছে। নির্বাচন ও আন্দোলন সংগ্রামের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। শিবির ব্লাড ডোনেশন ক্লাবসহ বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম চালান বলে তিনি স্বীকার করেন। অধ্যাপক লিয়াকত আলীর পোষ্টার ছাপানো হয়েছে ঈদকে সামনে রেখে আপনারা কি নির্বাচনে যাচ্ছেন নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন উনাকে জিজ্ঞেস করুন। আমি কিছু জানি না। তবে তিনি অধ্যাপক লিয়াকত আলীর আসন এটি সে ব্যাপারে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেছেন।
    প্রসঙ্গত; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যার পূর্ব নাম ছিল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। এটি পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর একটি শাখা। দলটি মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড এর আদর্শ ধারণ করে। জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে। তারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী, বুদ্ধিজীবী ও সংখ্যালঘু হিন্দুদের হত্যায় সহযোগিতা করেছিল। দলটির অনেক নেতাকর্মী সেসময় গঠিত আধা-সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেছিল। যারা গণহত্যা, বিশেষ করে হিন্দুদের ধর্ষণ ও জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে স্থানান্তরের মত যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিলো। জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
    ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর সরকার বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তখন তাদের দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর দেশে কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়। ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন। দলটির নেতাকর্মীদের ফিরে আসার অনুমতি দেন। ১৯৭৯ সালের মে মাসে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী নেতা আব্বাস আলী খানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
    ১৯৮০-এর দশকে জামায়াত গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের আওয়ামী লীগ ও সমসাময়িক বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচীর সাথে মিল রেখে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলন করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোটের সাথে মিলিত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট জয়লাভ করলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার জামায়াতের দুজন সদস্যকে মন্ত্রী নির্বাচিত করেন। ২০০৮ সাল থেকে দলটির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি ৩০০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টি আসন লাভ করে। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেন। ২০১২ সালে জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান সদস্যসহ ৮ জন নেতার বিরুদ্ধে ও বিএনপির দুজন নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা করেন। ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত জামায়াতের সাবেক সদস্যসহ মোট চার জনকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড দেন আদালত। একজনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ ও সাবেক আমির গোলাম আযমকে ৯০ বছর কারাদÐ প্রদান করা হয়। রায় ঘোষনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত ব্যাপক সহিংসতা চালান। এতে অনেক লোক নিহত হন ও ব্যাক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করেন। গভীর রাতে জামায়েত নেতা সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে প্রচার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে গুজব ছড়িয়ে দিয়ে তারা বিপ্লব ঘটানোর অপচেষ্টা করেন। সে সময়ও বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন ও রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদ ধংস করা হয়।
    ২০১৩ সালে ১ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধ সম্পর্কিত একটি রায়ে সংগঠনটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষনা করেন। একই সাথে দলটিকে নির্বাচনের অংশ গ্রহনের অযোগ্য ঘোষনা করেন।

    আরও পড়ুন

    বন্যার্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ দিল সেতারা-হাশেম ফাউন্ডেশন 
    যুবকদের প্রশংসা করলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ
    ফেনীতে বন্যাদুর্গতদের বিজিবির চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান
    ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি, কোথাও অবনতি
    বানের জলে ভাসিয়ে দেয়া হলো শিফুকে
    দাগনভূঞায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিলো বিনা
    মিরসরাইয়ের ঝর্ণায় ঘুরতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই পর্যটকের মৃত্যু
    পরশুরাম ও ফুলগাজীতে তৃতীয় দফায় বন্যা