৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> জাতীয় >> টপ নিউজ >> পরশুরাম >> ফেনী
  • স্যাংশান ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখা যাবে না-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী
  • স্যাংশান ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখা যাবে না-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী

    দৈনিক আমার ফেনী

    বিশেষ প্রতিনিধি
    নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। ছোট্ট একটি দেশ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই দেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী। দেশের মানুষ সুশিক্ষিত ও দক্ষ। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব স্যাংশানের (নিষেধাজ্ঞা) ভয় দেখিয়ে এ দেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
    তিনি গতকাল রোববার বিকেলে ফেনীর পরশুরামে নবনির্মিত বিলোনিয়া স্থলবন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, পরশুরাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী (সাজেল)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- যুগ্ম কমিশনার কাস্টমস এবং প্রকল্প পরিচালক ডিএম আতিকুর রহমান।
    পরশুরাম প্রতিনিধি আবু ইউসুফ মিন্টু জানান : ফেনীর বিলোনিয়া স্থল বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজের এক তৃতীয়াংশ কাজ শেষ করেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার বিকেলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসাবে বিলোনিয়া স্থলবন্দর উদ্বোধন করেন। বিলোনিয়া স্থল বন্দরের অবকাঠামোর এখনো ৭০ শতাংশ কাজ বাকী রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
    বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি মালামাল সংরক্ষণ ও পার্কিং সুবিধা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস ও আবাসন সুবিধাসহ বিলোনিয়া স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের ২০১৮ সালে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এ জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা। অধিগ্রহণ করা হয় ১০ একর জমি।
    ২০১৯ সালে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে কাজ শুরু হয়। নকশার মাত্র ৩০ শতাংশ অংশ সীমানা থেকে দেড়শ গজের বাইরে থাকায় কাজ করা সম্ভব হয়। কিন্তু বাকি ৭০ শতাংশের কাজ দেড়শ গজের ভেতরে থাকায় বিএসএফের বাধায় বন্ধ হয়ে যায়। এই নিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) একাধিক বার দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে কোন সুরাহা হয়নি।
    বিলোনিয়া স্থলবন্দর কতৃপক্ষ জানিয়েছেন বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের এখনো ৭০ শতাংশ কাজ বাকী রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের সীমানা বিরোধ সংক্রান্ত জটিলতার কারনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র বাধার কারণে বাকি কাজ করা সম্ভব হয়নি।
    পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া সীমান্ত এলাকায় ২০০৯ সালে দেশের ১৭তম এ স্থলবন্দরটি স্থাপন করা হয়। তৎকালীন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিলোনিয়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
    ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সিদ্ধান্তে স্থলবন্দরটি চালু করা হয়।
    বিলোনিয়া স্থলবন্দরটি উদ্বোধনের পর থেকে একমূখী বাণিজ্য কার্যক্রম চালু রয়েছে। শুধুমাত্র ভারতে রপ্তানী কার্যক্রম চলছে। ইতোপূর্বে স্থানীয় আমদানি রপ্তানীকারকদের দাবির পেক্ষিতে এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্বান্ত মোতাবেক গত বছরের শেষ দিকে আমাদানি কার্যক্রম শুরু হলেও কয়েক সপ্তাহ পেঁয়াজ আমদানি হলেও ডলার সংকটসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
    বিলোনিয়া স্থল বন্দরের কর্মকর্তা মো সাইফুল ইসলাম জানান, দুই তৃতীয়াংশ কাজ বাকী রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে অবকাঠামো রয়েছে তা দিয়েও বন্দর কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব হবে।
    বিলোনিয়া স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মো ইব্রাহিম বলেন, দীর্ঘদিন পর বিলোনিয়া স্থল বন্ধর অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে বিলোনিয়া স্থল বন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
    উল্লেখ্য; বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ফেনীর পরশুরাম উপজেলার এই বিলোনিয়া স্থলবন্দরটি সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ১০ একর জমিতে ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, একটি ওয়্যারহাউজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেডসহ একটি অফিস ভবন, একটি ডরমিটরী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় বন্দরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্থাপন, টয়লেট কমপ্লেক্স ও আমদানি-রপ্তানিকৃত পণ্যের সঠিক পরিমাপের লক্ষ্যে ১০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ডিজিটাল ওয়েব্রীজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে সকল ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমুল, গাছগাছড়া, বীজ, গম, পাথর (স্টোনস এনড বোল্ডারস), কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে, কোয়ার্টজ ইত্যাদি আমদানি করা হয়ে থাকে। রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য ও শিশু খাদ্য ইত্যাদি।
    প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ২০০১ সালের ১৪ই জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। স্থলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এসকল স্থলবন্দরের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৪টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করে অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায় ‘বিলোনিয়া স্থলবন্দর’ একটি।
    পরে প্রতিমন্ত্রী পরে ‘বিলোনিয়া স্থলবন্দর’ এর ফলক উন্মোচন করেন।

    আরও পড়ুন

    বন্যার্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ দিল সেতারা-হাশেম ফাউন্ডেশন 
    যুবকদের প্রশংসা করলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ
    ফেনীতে বন্যাদুর্গতদের বিজিবির চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান
    ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি, কোথাও অবনতি
    বানের জলে ভাসিয়ে দেয়া হলো শিফুকে
    দাগনভূঞায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিলো বিনা
    মিরসরাইয়ের ঝর্ণায় ঘুরতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই পর্যটকের মৃত্যু
    পরশুরাম ও ফুলগাজীতে তৃতীয় দফায় বন্যা