সোনাগাজী প্রতিনিধি
সোনাগাজীর উপকূলীয় চরচান্দিয়া ও সদর ইউনিয়নের মানুষের জন্য একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র চরচান্দিয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবা গত ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ‘চরচান্দিয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৫ মাস ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ-চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত উপকূলের মানুষ’ এই শিরোনামে গতকাল রোববার দৈনিক আমার ফেনী পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হলে নড়েচড়ে বসেছে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের।
গতকাল রোববার জেলা সমন্বয় সভায় সংবাদটি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় জেলা সিভিল সার্জন শিহাব উদ্দিন চরচান্দিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পুনরায় চালু করার জন্য জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসানকে এটি পুনরায় চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান দৈনিক আমার ফেনী প্রতিবেদক কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে আমি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নিয়ে উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন করবো। কিভাবে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা যায় এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
প্রসঙ্গত, সোনাগাজীর উপকূলীয় চরচান্দিয়া ও সদর ইউনিয়নের মানুষের জন্য একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র চরচান্দিয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবা গত ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এটি বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত উপকূলের মানুষ। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ থাকার কারনে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় গরিব ও অসহায় রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী উপকূলীয় এ এলাকার বাসিন্দারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে পারছেননা। চরচান্দিয়া ও সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের উপকূলীয় মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে সরকার চরচান্দিয়া ইউনিয়নে একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করে। এ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয়। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি পরিত্যাক্ত হয়ে যাওয়ায় ভবন সংকটে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক মাস পাশ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এটি শ্রেণী কক্ষে চিকিৎসা কার্যক্রম চালালেও বিদ্যালয়ের পাঠদানে কক্ষ সংকট দেখা দেয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ কে কক্ষ টি ছেড়ে দিতে হয়। একারনে গত ৫মাস ধরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ থাকার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে দায়ি করছেন স্থানিয় বাদিন্দারা তারা বলছেন, এই এই এলাকায় আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আলোচনা করে যেকোন একটিতে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া যেত। স্বাস্থ্য বিভাগের গাফেলাতির কারনে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র কেন্দ্রের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এটি বন্ধ থাকার কারনে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা।