সাখাওয়াত হোসেন
ছাগলনাইয়ায় গ্যাস সংকটের ফলে বেশিরভাগ সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কে নামা বন্ধ রয়েছে। সিএনজিচালিত প্রাইভেট গাড়িরও একই দশা। ফলে রাস্তায় কমেছে গাড়ির সংখ্যা। এদিকে, বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজিতে ঝুঁকছেন গাড়ির মালিক ও চালকরা।
গত দুই-তিন দিন ধরে গ্যাস সংকটে থাকায় চালকরা দিশেহারা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। অন্যদিকে, গ্যাসের অভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে সিএনজিচালিত বেশিরভাগ গাড়ি। এতে বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। তবে চালকদের একটি অংশ এলপিজি দিয়ে সড়কে গাড়ি চলাচল সচল রেখেছে। এদিকে অনেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গাড়ি ভাড়া তুলনা মূলক অকে বেড়ে গেছে। ক্ষেত্র বিশেষ দেড় থেকে দুগুণ বেড়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। করৈয়া বাজার থেকে ছাগলনাইয়া ভাড়া ২০ টাকা হলেও গতকাল চালকরা ভাড়া নিয়েছেন ৩০ টাকা। বিএম অটোগ্যাসের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, দুদিন যাবত এলপিজি গ্যাসের গাড়ি বাড়ছে। রেগুলার গাড়ির সাথে নতুন করে প্রায় ৫০টি গাড়ি এলপিজি গ্যাস নিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চালক জানান, লাইনের গ্যাস ৪৫ টাকা এলপিজি ৫৭ টাকা। দুদিন গ্যাস সংকট থাকায় আমার গাড়ি গতকাল থেকে এলপিজিতে রুপান্তর করেছি। তাই ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া উপায় নেই। অনেকে গাড়ির জন্য গ্যাস না পেয়ে গাড়ি সড়কে নামানো বন্ধ রেখেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল সড়কে তুলনামূলক গাড়ি কম নেমেছ। ছাগলনাইয়া থেকে মনুরহাট, ছাগলনাইয়া থেকে শুভপরসহ সব সড়কে কম গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেক চালক গ্যাস সংকটের কারণ দেখিয়ে গাড়ি বন্ধ রেখেছেন।
ইকবাল এন্ড সন্সের কর্মকর্তা মো.আলম জানান, আমাদের এখানে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। গতকাল একটু সমস্যা হলেও গতরাত থেকে আমরা গ্যাস দিচ্ছি। তবে মাঝেমধ্যে সমস্যা হলে বন্ধ রাখা হয়।
ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়ে ফেনী জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক মজুমদার জানান, কোন চালক বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ নিয়ে থাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংগঠন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্যাস সংকট হলেও শ্রমিক ইউনিয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে ভাড়া বাড়বে না কমানো হবে সে বিষয়ে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।