নিজস্ব প্রতিনিধি
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফেনীর উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লার বিরুদ্ধে ধর্ষনের শাস্তি ও স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এক নারী। বান্দরবান থেকে ফেনীতে এসে গতকাল মঙ্গলবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী দাবী করেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফেনীর বর্তমান উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লা তার স্বামী। মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্যাহ ২০১৯ সালে বান্দরবানের ডিডি থাকা অবস্থায় তার সাথে ওই নারীর পরিচয় হয়। ভুক্তভোগী নারী সেসময় একই প্রতিষ্ঠানে সেলাই প্রশিক্ষক (খন্ডকালীণ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নেয়ামত উল্লা তাকে সরকারি চাকরিতে স্থায়ী নিয়োগ ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৯ সালের ৪জুলাই নেয়ামত উল্লা ওই নারীকে তার বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে হুজুর ডেকে তাকে কলেমা পড়ে কাবিন ছাড়া বিয়ে করেন।
২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেওয়া তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিন। বিচার না পেয়ে তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত না পাওয়ায় আদালত তার মামলাটি খারিজ করে দেন।
ওই নারীর জানান, ইমোতে তার সাথে চ্যাটিংসহ একাধিক পার্কে ঘুরাঘুরির কিছু ছবিও রয়েছে তার কাছে। বর্তমানে তাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে উল্টো প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী আত্মাহুতির হুমকি দিয়ে বলেন, আমার মৃত্যুর জন্য মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্যাহ দায়ী থাকবেন। তিনি একজন পিতৃহারা নারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ দাবিও করেন। ভুক্তভোগী নারী বলেন, নেয়ামত উল্যাহর হাত অনেক বড়। তার অনেক ক্ষমতা। সেই বড় হাতের ক্ষমতার কারণে তিনি কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না।