১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • টপ নিউজ >> দাগনভূঞা >> দেশজুড়ে >> ফেনী
  • দাগনভূঞায় দপ্তরির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ
  • দাগনভূঞায় দপ্তরির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ

    দৈনিক আমার ফেনী

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    দাগনভূঞায় পঞ্চম শ্রেণির একাধিক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে। উপজেলার চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। দপ্তরি হুমায়ুন কবীর হরহামেশা এমন ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রধান শিক্ষককে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
    হুমায়ুন উপজেলার পশ্চিম চন্ডিপুর গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্যার ছেলে। একই সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ স্থানীয়দের।
    এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর পিতা মো. হান্নান বাদী হয়ে গত ৭মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপর একাধিক অভিভাবক মুখ খুলতে শুরু করেছেন
    অভিযোগে জানা গেছে, একাধিক ছাত্রী স্কুলে আসলে স্কুলের দপ্তরী হুমায়ুন কবির কৌশলে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় মেম্বারকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে গরু-ছাগলের কাজ করান। এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের একাধিক অভিভাবক জানালেও তিনি কর্ণপাত করেননি। একপর্যায়ে অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন।
    ভুক্তভোগী একাধিক ছাত্রী জানান, দপ্তরী হুমায়ুন কবীর শিক্ষক না হয়েও ক্লাস রুমে গিয়ে ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। এ ব্যাপারে মারধরের ভয় দেখিয়ে শিক্ষক-অভিভাবকদের না জানাতে শাসিয়ে দেন।
    উত্তম কুমার নামে এক অভিভাবক জানান, পিয়ন হুমায়ুনের কর্মকান্ডে অভিভাবকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছেন। তার স্ত্রী বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে পরিবার শংকার মধ্যে থাকেন। শুধু তাই নয়, স্কুল সংলগ্ন বাড়ির খামারে গরু-ছাগল ও মুরগির খামারে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যস্ত রাখেন প্রধান শিক্ষক। এ ব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
    শহীদুল ইসলাম পলাশ নামে আরেক অভিভাবক জানান, অনেক মেয়েরা লজ্জায় বলতে পারেনা। তার মেয়ে স্কুলে যেতে না চাইলে বিষয়টি প্রকাশ হয়। এভাবে একেএকে একাধিক অভিভাবক মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
    অভিভাবক হান্নান ভুট্টু জানান, ঘটনা শোনার পর তার মেয়ে সহ ৪-৫ জন ছাত্রী গত ৭-৮ দিন ধরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার পেতে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, অভিযোগের তদন্ত করতে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
    তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সুজন কান্তি শর্মা জানান, ঘটনার তদন্তে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী ছাত্রী, তাদের অভিভাবক ও অভিযুক্ত পিয়নের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে কর্মস্থলে না পাওয়ায় তাকে রবিবার সকালের মধ্যে হাজির হতে জানানো হয়েছে। দ্রুতসময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে আগেও যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। গরু-ছাগলের খামারে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাবহারের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
    অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পিয়ন হুমায়ুন কবীর দাবী করেন, পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অতীতেও নানাভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
    ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি জানার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খোঁজখবর নিতে নির্দেশ দেয়া হযেছে।

    আরও পড়ুন

    জনসভাকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা
    ফাজিলপুরে যুবদলের কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল
    চাঁদাবাজির অভিযোগে জামায়াতের জাকির বহিষ্কার
    ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে ৬০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি
    ক্রীড়া সংস্থার কমিটি বাতিলের দাবিতে লিফলেট বিতরণ
    স্কাউটস’র সহ-সভাপতি সাংবাদিক রহীম
    হাইওয়ে পুলিশ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
    রোগীদের অযথা হয়রানি বন্ধে যত্নবান হউন -জেলা প্রশাসক