সোনাগাজী প্রতিনিধি
সোনাগাজীতে কাঁকড়া ধরা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা দিয়ে চাপা দিয়ে আবদুর রহিম ওরফে তুহিনকে (১৫) হত্যার অভিযোগ উঠেছ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব চর সাহাপুর এলাকায় আবদুর রহিমকে গাড়ি চাপা দেয় প্রতিপক্ষ। নিহত আবদুর রহিম উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর সাহাপুর এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিহতের বড় ভাই নুর নবী বাদী হয়ে উপজেলার সোনাপুর এলাকার সিএনজি চালক আবুল খায়ের (৫০) তাঁর ছেলে মো. সাহেদ (২৭) সহযোগী মো. মাসুদ (২৮) ও মো. নাঈমের (২২) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে আবদুর রহিম ওরফে তুহিনের ভাই মো. রোমেন কাঁকড়া ধরতে উপজেলার মুহুরী প্রকল্প এলাকায় যায়। এসময় কাঁকড়া ধরাকে কেন্দ্র করে রোমেনের সঙ্গে স্থানীয় মো. মাসুদ, সাহেদ ও নাঈমের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় তারা তিনজন মিলে রোমেনকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে রোমেনের বাবা নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারী সাহেদের বাবা আবুল খায়েরসহ কয়েকজন মিলে বিষয়টি সমাধান করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে তিনি রোমেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এর পরদিন বুধবার রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই হামলাকারীরা আহত রোমেনের বাবা ও বড়ভাই বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গরিরোধ করে তাদের দুজনকেও মারধর করে। এসময় তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁদেরকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে চিকিৎসা করান।
মামলার বাদি নুর নবী বলেন, বুধবার সকালে তার ছোট ভাই আবদুর রহিম তাদেরকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী সাহেদের বাবা আবুল খায়েরসহ আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে এসে তাকে পেছন দিক থেকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে রহিমের মাথায় গুরুতর জখমসহ হাত-পায়ের হাঁড় ভেঙে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে সড়কের ওপর লুটে পড়ে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনিত হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন জানায়, ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।