১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> টপ নিউজ >> দেশজুড়ে >> পরশুরাম >> ফেনী
  • পরশুরামে পাকা ধানে পোকার আক্রমণ দিশেহারা হাজারো কৃষক
  • পরশুরামে পাকা ধানে পোকার আক্রমণ দিশেহারা হাজারো কৃষক

    দৈনিক আমার ফেনী

    আবু ইউসুফ মিন্টু
    পরশুরাম উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও পাকা ধানে পোকার আক্রমণে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জমি থেকে যখন ধান কেটে ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঠিক সেই সময়েই দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমণ।
    হঠাৎ পাকা ধানে বাদামি গাছ ফড়িং পোকার আক্রমণে মুহুর্তের মধ্যে পাকা ধান সাদা হয়ে যাচ্ছে এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা এ রোগকে গুনগুনির আক্রমণ বলে দাবি করছেন।
    এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক আবুল খায়ের জানান, কীটনাশক স্প্রে করেও দমন করা যাচ্ছে না পোকার আক্রমণ। এক জমি থেকে আরেক জমিতে পোকার আক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় কৃষকেরা এই পোকার নাম গুনগুনি পোকা বললেও পরশুরাম উপজেলা কৃষি অফিস বলছেন বাদামি গাছ ফড়িং। বাদামি গাছ ফড়িং মূলত পাকা ধানেই আক্রমণ করে। এই পোকা প্রথমে ধানের শিষের কচি ডগার রস চুষে খায়। ফলে ওই ধানের শিষ ২/৩ দিনের মধ্যেই মরে সাদা হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এই পোকার আক্রমণ এতটা ভয়াবহ যে ধান কেটে নেওয়ার পরও এই পোকার সংক্রমণ হচ্ছে।
    উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌর এলাকার কয়েকটি গ্রামের মাঠে সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের এমন দু:খ-দুর্দশার চিত্র দেখা যায়। এ সময় কথা হয় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে।
    উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক জানান, আমার বেশিরভাগ জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাজারের দোকান থেকে কীটনাশক স্প্রে করছি, এতে কাজ হচ্ছে না। সব ধান মরে সাদা হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের লোকজন কি পরামর্শ দিয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি জানান, কৃষি অফিসের কোনো লোকজনকে তিনি কখনো দেখেননি।
    মির্জানগর ইউনিয়নের গ্রামের কৃষক মো. হানিফ বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে ধান কাটার নিয়ত করেছি। সকালে জমিতে এসে দেখি পোকায় পাকা ধান খেয়ে ফেলছে, কী করি ভেবে পাচ্ছি না। বাজার থেকে কীটনাশক এনে স্প্রে করছি।’
    পরশুরাম পৌর এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব রঞ্জন বণিক জানান, কিছু কিছু এলাকায় পাকা ধানে বাদামি গাছ ফড়িং পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। এর কারণে কৃষকদের ওষুধ ছিটানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
    উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনছুর আহাম্মদ জানান জানান, ভারতের সীমান্ত এলাকাজুড়ে লাইটিং, স্যাঁতসেঁতে জমিতে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি এবং ধানের চারা ঘন ঘন লাগানোর ফলে বাদামি গাছ ফড়িং পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। পাকা ধানে প্লেনাম, মিফসিন, নাইট্রো নামের ওষুধ পরিমাণ ও সময়মতো ছিটালে বাদামি গাছ ফড়িং পোকার আক্রমণ থেকে পাকা ধান রক্ষা পাবে।
    এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, যে জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে সেখানে কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায় কৃষকরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
    অপরদিকে উপজেলার বেশিরভাগ কৃষকরা অভিযোগ করেন উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরকে মাঠে পাওয়া যায় না। মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলে মোবাইলে কয়েকটি কীটনাশকের নাম বলে দেয় তাদের কথামতে জমিতে ছিটানো হলেও কোন উপকার পাওয়া যাচ্ছে না।
    উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এবার পোকার আক্রমন বেশী বলে মনে হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে কৃষকদেরকে সচেতন করা হচ্ছে। কৃষি অফিসের নির্দেশনা মেনে চললে পোকার আক্রমন থেকে রেহাই পাবে বলে তিনি আশা করনে।

    আরও পড়ুন

    ফেনীতে রেস্তোঁরা মালিকদের মানববন্ধন
    লেমুয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
    টপ সয়েল কাটায় ১জনকে জেল, ২টি পিকআপ জব্দ
    মিরসরাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী নিহতের ঘটনায় যুবদলের আহ্বায়ক সহ গ্রেফতার ৪
    ছাগলনাইয়ায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতের মতবিনিময়
    জমাদার বাজার ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণ 
    ছাগলনাইয়ায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
    পাইলট মাঠে মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট’র উদ্বোধন