দাগনভূঞা প্রতিনিধি
দাগনভূঞায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়েছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের উত্তর গজারিয়া গ্রামে (ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরিজ উদ-দৌলার বাড়ির সামনে) এ ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে নয়ন ও হান্নান নামে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও মৃত জহির মাস্টারের ছেলে রমিজকে (২৮) আটক করে দাগনভূঞা থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে গজারিয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী ইয়াছিনের ছেলে রিফাত (১৭) স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই এলাকার মজিবুল হকের ছেলে লিওন (১৭), জহিরের ছেলে তারেক (২৪) এবং আবুল কালামের ছেলে সিয়ামের (১৬) সামনে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে তারা তিনজন নিজেদেরকে বড়ভাই দাবি করে রিফাতকে ধরে গজারিয়া বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে নিয়ে চড়থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেয়।
এঘটনায় রিফাতের বন্ধু স্থানীয় রহিম উল্যার ছেলে শুভ (১৮) ও এমামের ছেলে শামীম (১৭),হাফিজের ছেলে রাকিব (২২), কামালের ছেলে তুষার (২১), বাবুলের ছেলে মামুন (১৮), আজম খানের ছেলে আশরাফ (২৪), পশ্চিম গজারিয়ার ইসমাঈলের ছেলে মোর্শেদ (২১), পাশবর্তী ওমরাবাদ গ্রামের শাহীনের ছেলে আনন্দ (১৭) প্রতিবাদ করলে একই এলাকার ছুট্টু মিয়ার ছেলে জিল্লুর রহমান তানজিল (১৮), মিন্টুর ছেলে লিসান আহমেদ (২৩) এসে লিওনের পক্ষ নিলে উভয়পক্ষের মাঝে গজারিয়া বাজারে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদ হোসেন ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমিজ উদ্দিন এগিয়ে এসে দু-পক্ষকে শান্ত করে পরবর্তীতে বিষয়টি মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে সবাইকে তাড়িয়ে দেন।
এরপরও একইদিন রাত ১০টার দিকে তানজিল, লিসান ও লিওনের পক্ষ নিয়ে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের সিরাজ উল্যার ছেলে শহীদুল ইসলাম নয়ন (২৩) ও একই গ্রামের আবদুল হান্নান (২৪) নামে দুই যুবক রিফাতসহ তার সঙ্গীদের খুঁজতে ঘটনাস্থলে হাজির হলে ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে ৪/৫জন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও নয়ন ও হান্নানসহ ৫ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনজন বাড়ি চলে যান। এদিকে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে আশংকাজনক অবস্থায় নয়ন ও হান্নানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তারা চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান। এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে জানান পুলিশ।